HSC 2025 Chattogram Board Bangla 2nd Paper Question & Solution
এইচএসসি ২০২৫ বাংলা ২য় পত্র (চট্টগ্রাম বোর্ড) প্রশ্ন ও সমাধান টেক্সট আকারে সুন্দরভাবে গুছিয়ে দেয়া হলো।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫
চট্টগ্রাম বোর্ড
বাংলা দ্বিতীয় পত্র
বিষয় কোড: ২৩৭
সময়-৩ ঘণ্টা পূর্ণমান-১০০
এইচএসসি চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৫ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্ন (ব্যাকরণ অংশ)
ক বিভাগ ব্যাকরণ
মান ৩০
১। ক) ‘অ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
অ-ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম:
১. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-এর মতো হয় হয়। যেমন: গদ্য (গোদ্ দো), কল্যাণ (কোল্ লান্)/(কোল্ ল্যান্)
২. আদ্য ‘অ’-এর পর ‘ক্ষ’ থাকলে সে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’-এর মতো হয়।
যেমন: দক্ষ (দোক্ খো), লক্ষণ (লোক্ খোন্)।
৩. মধ্য ‘অ’-এর আগে যদি ‘অ’ থাকে তবে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়ে থাকে। যেমন: যতন (জতোন্), কমল (কমোল)।
৪. মধ্য ‘অ’-এর আগে ‘আ’ থাকলে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়। যেমন: কানন (কানোন্), ভাষণ (ভাশোন্)।
৫. শব্দের শেষে যুক্তব্যঞ্জন থাকলে শেষের ‘অ’ সাধারণত ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন: বক্ষ (বোক্ খো), শক্ত (শক্তো)।
অথবা, খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখ:
প্রদত্ত শব্দ =>শুদ্ধ উচ্চারণ
সন্ধ্যা=>শোন্ ধা
শ্রদ্ধা=>স্রোদ্ধা
মহত্ত্ব=>মহোত্ তো
শূন্য=>শুন্নো
চলিষ্ণু=>চোলিশ্ নু
বেতন=>বেতোন্
ব্রাহ্মণ=>ব্রাম্mhoন/ব্রাম্ হোন্
অহ্ন=>অন্ হো/অন্nho
২। ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের অ-তৎসম শব্দের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
‘অ-তৎসম’ শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম:
ক. অ-তৎসম শব্দের বানানে ‘ণ’ ব্যবহার করা হবে না। যেমন: কান কোরান, গভর্নর ইত্যাদি।
খ. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘ষ ব্যবহার হয় না। যেমন: কিশমিশ, নাশতা, পোশাক, বেহেস্ত, শখ ইত্যাদি।
গ. হস-চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করা হয়ে থাকে। যেমন: কলকল, কাত, ঝরঝর করলেন, চট, জজ ইত্যাদি।
ঘ. ঊর্ধ্ব-কমা যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন: বলে, হয়ে, চাল, দুজন ইত্যাদি।
ঙ. বাংলায় বিদেশি শব্দের আদিতে বর্ণবিশ্লেষ সম্ভব নয়। এগুলো যুক্তবর্ণ দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: স্টেশন, স্ট্রিট, স্প্রিং।
অথবা, খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ বানান লেখ:
অশুদ্ধ বানান => শুদ্ধ বানান
ঝঞ্জাট =>ঝঞ্ঝাট
মূহুর্ত =>মুহূর্ত
সয়ংবরা =>স্বয়ংবরা
শিরোমনি =>শিরোমণি
নূন্যতম =>ন্যূনতম
বুদ্ধিজীবি =>বুদ্ধিজীবী
সর্বশান্ত =>সর্বস্বান্ত
জৈষ্ট্য =>জ্যৈষ্ঠ।
৩। ক) বিশেষ্য পদের সংজ্ঞা দাও। উদাহরণসহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
বিশেষ্য:
যেসব শব্দ দিয়ে ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান, বস্তু, ধারণা ও গুণের নাম বোঝায়, সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। যেমন- নজরুল, বাঘ, ঢাকা, ইট, ভোজন, সততা ইত্যাদি।
বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ
বিশেষ্য সাধারণত ছয় প্রকার:
১. নাম-বিশেষ্য,
২. জাতি-বিশেষ্য,
৩. বস্তু-বিশেষ্য,
৪. সমষ্টি-বিশেষ্য,
৫. গুণ-বিশেষ্য
এবং ৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য।
১. নাম-বিশেষ্য:
ব্যক্তি, স্থান, দেশ, কাল, সৃষ্টি প্রভৃতির সুনির্দিষ্ট নামকে নাম-বিশেষ্য বলা হয়। যেমন-
ব্যক্তিনাম: হাবিব, সজল, লতা, শম্পা।
স্থাননাম: ঢাকা, বাংলাদেশ, হিমালয়, পদ্মা।
কালনাম:সোমবার, বৈশাখ, জানুয়ারি, রমজান।
সৃষ্টিনাম: গীতাঞ্জলি, সঞ্চিতা, ইত্তেফাক, অপরাজেয় বাংলা।
২. জাতি-বিশেষ্য:
জাতি-বিশেষ্য সাধারণ-বিশেষ্য নামেও পরিচিত। এ ধরনের বিশেষ্য নির্দিষ্ট কোনো নামকে না বুঝিয়ে প্রাণী ও অপ্রাণীর সাধারণ নামকে বোঝায়। যেমন- মানুষ, গরু, ছাগল, ফুল, ফল, নদী, সাগর, পর্বত ইত্যাদি।
৩. বস্তু-বিশেষ্য:
কোনো দ্রব্য বা বস্তুর নামকে বস্তু-বিশেষ্য বলে। যেমন- ইট, লবণ, আকাশ, টেবিল, বই ইত্যাদি।
৪. সমষ্টি-বিশেষ্য:
এ ধরনের বিশেষ্য দিয়ে ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টিকে বোঝায়। যেমন- জনতা, পরিবার, ঝাঁক, বাহিনী, মিছিল ইত্যাদি।
৫. গুণ-বিশেষ্য:
গুণগত অবস্থা ও ধারণার নামকে গুণ-বিশেষ্য বলে। যেমন- সরলতা, দয়া, আনন্দ, গুরুত্ব, দীনতা, ধৈর্য ইত্যাদি।
৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য দিয়ে কোনো ক্রিয়া বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়া-বিশেষ্য বলে। যেমন- পঠন, ভোজন, শয়ন, করা, করানো, পাঠানো, নেওয়া ইত্যাদি
অথবা, খ) নিম্নরেখ যে কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ কর:
i) সোনার তরী বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
ii) সাদা কাপড় পরলেই মন সাদা হয় না।
iii) তারা আজ ধরা পড়ে নুরুল হুদার নাম বলেছে।
iv) উঃ! কী যে যন্ত্রণা।
v) দেওয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া, প্রেতবৎ নাচিতেছে।
vi) ধনী মানুষ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
vii) ওহে, বন্ধু বিদায়।
viii) দু-মাথায় দুজন প্রৌঢ়া বিধবা লগি ঠেলছে।
পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ করা হলো:
i) বিশেষ্য
ii) বিশেষণ
iii) ক্রিয়া
iv) আবেগ
v) ক্রিয়া
vi) বিশেষ্য
vii) আবেগ
viii) বিশেষ্য।
৪। ক) উপসর্গের সংজ্ঞা দাও। উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
উপসর্গ:
যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে তাকে উপসর্গ বলে।
উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা/ভূমিকা/গুরুত্ব:
নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠনে উপসর্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুধু তাই নয়- শব্দার্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ, সংকোচন কিংবা পূর্ণতা সাধনে উপসর্গ ভূমিকা রাখে। উপসর্গগুলোর অর্থবাচকতা না থাকলেও অন্য শব্দের আগে বসে এগুলো অর্থের দ্যোতনা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: ‘দিন’ শব্দের আগে ‘সু’ উপসর্গযোগে ‘সুদিন’ শব্দটি গঠিত হয়, যার অর্থ- ভালো দিন। এখানে অর্থের সংকোচন হয়েছে। কাজ শব্দের আগে ‘অ’ উপসর্গযোগে ‘অকাজ’ শব্দটি গঠিত হয়, যার অর্থ- অনুচিত কাজ। এখানে অর্থের পরিবর্তন হয়েছে। আবার ‘পূর্ণ’ শব্দের আগে ‘পরি’ উপসর্গযোগে ‘পরিপূর্ণ’গঠিত হয়, যার অর্থ- সামগ্রিকভাবে ভরপুর। এখানে শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ হয়েছে। এভাবে সংস্কৃত, বাংলা ও বিদেশি উপসর্গের দ্বারা বাংলা ভাষায় নিত্য নতুন শব্দ গঠিত হচ্ছে। এ সকল দিক বিবেচনায় বলা যায়, উপসর্গের ব্যবহারে বাংলা শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে।
অথবা, খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর:
প্রদত্ত শব্দ = ব্যাসবাক্য = সমাসের নাম
জন্মান্তর = অন্য জন্ম = নিত্য সমাস
শতাব্দী = শত অব্দের সমাহার = দ্বিগু সমাস
টানাটানি = টানতে টানতে যে লড়াই = ব্যতিহার বহুব্রীহি
দম্পতি = জায়া ও পতি = দ্বন্দ্ব সমাস
তুষারধবল = তুষারের ন্যায় ধবল = উপমান কর্মধারয় সমাস।
অরিন্দম = অরিকে দমন করে যে = উপপদ তৎপুরুষ সমাস
আলুনি = ন লুনি = নঞ তৎপুরুষ
রণ-তুর্য = রণের তূর্য = ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
৫। ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্যগুলো উদাহরণসহ আলোচনা কর।
বাক্য:
যে পদ বা পদ সমষ্টি দ্বারা বক্তার পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে। যেমন: আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি।
বাক্যের গুণ:
অর্থ স্পষ্ট হওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি, সম্পূর্ণ-মনোভাব প্রকাশ এবং অর্থগত ও ভাবগত মেল বন্ধন হলো বাক্যের গুণ।
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। যথা–
ক. আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অন্তর্গত একটি পদের পর তার পরবর্তী পদ শোনার যে আগ্রহ তাকেই আকাঙ্ক্ষা বলে। একটি সার্থক বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়। কোনো বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকলে তা বাক্য হিসেবে সার্থক হয় না। যেমন: ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বললে শ্রোতার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় না কিন্তু ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ বললে শ্রোতার আর আকাঙ্ক্ষা থাকে না। সুতরাং ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বাক্য নয়, ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ একটি সার্থক বাক্য।
খ. আসত্তি:
বাক্যের সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকেই আসত্তি বলে। বাক্যস্থিত পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ না হলে তাকে বাক্য বলা যায় না। যেমন: ‘সাদা বকের দল আকাশে উড়ছে।’ উল্লিখিত বাক্যে পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ হওয়ায় এটি একটি সার্থক বাক্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই পদসমষ্টিকে যদি সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস না করে বলা হয়, ‘সাদা উড়ছে দল বকের আকাশে’ তাহলে আসত্তি গুণের অভাবে বাক্যটি সার্থক হবে না। তাই একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আসত্তি গুণটি থাকতে হবে।
গ. যোগ্যতা:
বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলোর অর্থ ও ভাবগত মিল বা সামঞ্জস্যকে যোগ্যতা বলে। একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অর্থ ও ভাবগত অন্বয় রক্ষিত না হলে বাক্য তার যোগ্যতা হারায়। যেমন: ‘গরুগুলো আকাশে উড়ছে।’ বাক্যটিতে আকাঙ্ক্ষা এবং আসত্তি গুণ রক্ষিত হলেও এটি সার্থক বাক্য নয়; কেননা, এতে ব্যবহৃত পদগুলোর সঙ্গে ভাবের কোনো সাদৃশ্য নেই। কিন্তু এর পরিবর্তে যদি বলা হয়, ‘পাখিগুলো আকাশে উড়ছে।’ তাহলে এটি যোগ্যতাসম্পন্ন একটি সার্থক বাক্য হয়ে উঠবে।
অথবা, খ) নির্দেশানুসারে যে কোনো পাঁচটি বাক্য রূপান্তর কর:
প্রদত্ত বাক্য =>বাক্যান্তর
i) তিনি ধনী হলেও অসাধু নন। (জটিল)
=>যদিও লোকটি ধনী, তবুও তিনি অসাধু নন।
ii) ঘরে এলে খাতির না করবো কেন? (অস্তিবাচক)
=>ঘরে এলে খাতির করবো।
iii) পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা অসম্ভব। (সরল)
=>পৃথিবীতে সবই সম্ভব।
iv) ফুল সুন্দর। (নেতিবাচক)
=>ফুল অসুন্দর নয়।
v) সেই বাঁশির সুর খুব মিষ্টি। (বিস্ময়সূচক)
=>আহা, কী মিষ্টি সেই বাঁশির সুর!
vi) তোমার নাম কী মা? (নির্দেশাত্মক)
=>তোমার নাম জানতে চাই, মা।
=>তোমার নাম জানতে চাই।
vii) সরস্বতী বর দেবেন না। (প্রশ্নবাচক)
=>সরস্বতী বর দেবেন কি?
viii) দেশের সেবা করা কর্তব্য। (অনুজ্ঞা)
=>দেশের সেবা করো।
৬। ক) যে কোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধরূপে লেখ:
অশুদ্ধ বাক্য => শুদ্ধ বাক্য
i) সব পাখিরা নীড় বাঁধে না।
=>সব পাখি নীড় বাঁধে না।
ii) সুন্দর হাতের লেখা সবার পছন্দ।
=>হাতের সুন্দর লেখা সবার পছন্দ।
iii) অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার।
=>অন্নাভাবে প্রতি ঘরে/ঘরে ঘরে হাহাকার।
iv) সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।
=>সবক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।
v) এক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন হয়েছে।
=>এক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।
vi) আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি।
=>আমি কিংবদন্তির কথা বলছি।
vii) এটি লজ্জাস্কর ব্যাপার।
=>এটি লজ্জাকর ব্যাপার।
viii) উপরোক্ত বাক্যটি শুদ্ধ নয়।
=>উপরিউক্ত/উপর্যুক্ত বাক্যটি শুদ্ধ নয়।
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:
আজকাল সব শিক্ষার্থীরা বাংলা বানানের ক্ষেত্রে সচেতন নয়। তারা অধ্যায়ন, পরিক্ষা, স্বার্থকতা বানান শুদ্ধভাবে লিখতে পারে না। এ সকল বানান ভুল করা ঠিক নয়।
শুদ্ধ অনুচ্ছেদ:
আজকাল শিক্ষার্থীরা বাংলা বানানের ক্ষেত্রে সচেতন নয়। তারা ‘অধ্যয়ন’, ‘পরীক্ষা’, ‘সার্থকতা’ — এসব শব্দের বানান শুদ্ধভাবে লিখতে পারে না। এ ধরনের বানান ভুল করা উচিত নয়।
এইচএসসি ২০২৫ চট্টগ্রাম বোর্ড বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান
খ বিভাগ নির্মিতি
মান-৭০
৭। ক) যে কোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখ:
প্রদত্ত শব্দ =>পারিভাষিক রূপ
Impeachment=>অভিশংসন
Octave=>অষ্টক
Fitness=>যোগ্যতা
Ordinance=>অধ্যাদেশ
Bankrupt=>দেউলিয়া
Proctor=>প্ররক্ষক
Legend=>কিংবদন্তি
Hybrid=>সংকর
Catalogue=>তালিকা/গ্রন্থতালিকা
Dual=>দ্বৈত
Comet=>ধূমকেতু
Diplomatic=>কূটনৈতিক
Alphabet=>বর্ণমালা
White-paper=>শ্বেতপত্র
Surplus=>উদ্বৃত্ত।
অথবা, খ) বাংলায় অনুবাদ কর:
The real heroes are those whom the world do not know. They work among the poor, among the distressed. They do not expect any reward from them. They are moved by the sufferings of others and their main object is to relieve the sufferings of others. They do not want fame, no medals glitters on their breast, no poet sings their praise. They work and die for others.
বঙ্গানুবাদ:
“প্রকৃত বীর তারাই যাদের পৃথিবী চেনে না। তাঁরা গরিব ও দুঃস্থদের মাঝে কাজ করেন। তাঁরা তাদের কাছ থেকে কোনো পুরস্কার প্রত্যাশা করেন না। অন্যের দুঃখে তাঁরা ব্যথিত হন এবং তাঁদের প্রধান লক্ষ্য হলো— অন্যের দুঃখ লাঘব করা। তাঁরা খ্যাতি চান না, তাঁদের বুকে ঝকমকে কোনো পদক জ্বলজ্বলে করে না, কোন কবি তাঁদের প্রশংসা গায় না। তাঁরা অন্যের জন্য কাজ করেন এবং তাদের জন্যই জীবন বিসর্জন দেন।”
৮। বৃক্ষমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা, খ) বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার ওপর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত কর।
৯। ক) বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে প্রবাসী বন্ধুদের নিকট একটি বৈদ্যুতিন চিঠি লেখ। ১০
অথবা, খ) শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে অধ্যক্ষের নিকট একটি আবেদন পত্র লেখ।
১০। ক) সারাংশ লেখ: ১০
যার ভিত্তি পচে গেছে, তাকে একদম উপড়ে ফেলে নতুন করে ভিত্তি না গাঁথলে তার উপর ইমারত যতবার খাড়া করা যাবে, ততবারই তা পড়ে যাবে। দেশের যারা শত্রু, দেশের যা-কিছু মিথ্যা, ভন্ডামি, মেকি তা সব দূর করতে প্রয়োজন হবে আগুনের সম্মার্জনা! আমার এমন গুরু কেউ নেই, যার খাতিরে সে আগুন-সত্যকে অস্বীকার করে কারুর মিথ্যা বা ভন্ডামিকে প্রশ্রয় দেবে। আমি সে দাসত্ব হতে সম্পূর্ণ মুক্ত। আমি কোনোদিনই কারুর বাণীকে বেদবাক্য বলে মেনে নেব না, যদি তার সত্যতা তার প্রাণে সাড়া না দেয়। না বুঝে বোঝার ভন্ডামি করে পাঁচজনের শ্রদ্ধা আর প্রশংসা পাবার লোভ আমি কোনোদিনই করব না।
অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।
১১। ক) যানজটের ভোগান্তি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
অথবা, খ) শিরোনামসহ নিচের সংকেত অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর:
ঝড়ের রাত। আকাশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। পিয়ালের মন খুবই অস্থির। রাত আনুমানিক একটা। হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ। অজানা আতঙ্কে পিয়াল………..
১২। যে কোনো একটি বিষয় অবলম্বনে প্রবন্ধ লেখ:
ক) শৈশবস্মৃতি
খ) বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প: সমস্যা ও সম্ভাবনা
গ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ
ঘ) দৈনন্দিন জীবনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার
ঙ) বই পড়ার আনন্দ।
(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)
- এইচএসসি ব্যাকরণ অংশের টোপিকভিত্তিক বোর্ড প্রশ্ন সমাধান একসাথে (২০১৬-২০২৫)
- এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৫)
- আলিম বাংলা ২য় বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)
- এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২৫)
- মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২০২৫)
- ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্ন (২০০৮-২০২৫)
