HSC 2025 Dinajpur Board Bangla 2nd Paper Question & Solution
এইচএসসি ২০২৫ বাংলা ২য় পত্র (দিনাজপুর বোর্ড) প্রশ্ন ও সমাধান টেক্সট আকারে সুন্দরভাবে গুছিয়ে দেয়া হলো।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫
দিনাজপুর বোর্ড
বাংলা দ্বিতীয় পত্র
বিষয় কোড: ২৩৭
সময়-৩ ঘণ্টা পূর্ণমান-১০০
এইচএসসি দিনাজপুর বোর্ড ২০২৫ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্ন (ব্যাকরণ অংশ)
ক বিভাগ-ব্যাকরণ
মান-৩০
১। ক) ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদারহণসহ লেখ।
ব-ফলার উচ্চারণ:
ক. শব্দের প্রথমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে, ব-ফলা উচ্চারিত হয় না। যেমন: ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিত্ তো), শ্বাস (শাশ্), সজন (শজোন্), দ্বন্দ্ব (দন্ দো)।
খ. সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন: দিগ্বিজয় (দিগ্ বিজয়্), দিগ্বলয় (দিগ্ বলয়্)।
গ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন: তিব্বত (তিব্ বত্), লম্ব (লম্ বো)।
ঘ. উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন উদ্বাস্তু (উদ্বাস্ তু), উদ্বেল (উদ্ বেল্)।
ঙ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: বিশ্বাস (বিশ্ শাশ্), পক্ব (পক্ কো), অশ্ব (অশ্ শো), বিশ্ব (বিশ্ শো)।
অথবা, খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখ:
প্রদত্ত শব্দ =>শুদ্ধ উচ্চারণ
আশ্চর্য=>আশ্ চোর্ জো
মেঘমালা=>মেঘোমালা
মতি=>মোতি
রক্ত=>রক্ তো
ব্রাহ্মণ=>ব্রাম্mhon/ব্রাম্ হোন্
বিশ্বাস=>বিশ্ শাশ্
কল্যাণ=>কোল্ ল্যান্
নবান্ন=>নবান্ নো।
২। ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম:
১. যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ উ উভয়ই শুদ্ধ সেসব শব্দে কেবল ই বা উ এবং তার কারচিহ্নতি হবে। যেমন: কিংবদন্তি, চিৎকার, চুল্লি, ধমনি, পদবি, পল্লি, যুবতি, রচনাবলি, শ্রেণি, সরণি ইত্যাদি।
২. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: কর্ম, মর্ম, কার্য, সূর্য ইত্যাদি।
৩. সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পূর্বপদের অন্তস্থিত ম স্থানে অনুস্বার (ং) হবে। যেমন: অহম্+কার = অহংকার, সম্+গীত সংগীত ইত্যাদি।
৪. ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে-ত্ব ও-তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন: কৃতি-কৃতিত্ব, দায়ী -দায়িত্ব, প্রতিযোগী-প্রতিযোগিতা, সহযোগী-সহযোগিতা ইত্যাদি।
৫. শব্দের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। যেমন: প্রধানত, ক্রমশ, প্রথমত, প্রায়শ, মূলত ইত্যাদি।
অথবা, খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখ:
অশুদ্ধ বানান =>শুদ্ধ বানান
বিদ্রূপ =>বিদ্রুপ
আগন্তক =>আগন্তুক
ইতিপূর্বে =>ইতঃপূর্বে
মনিষী =>মনীষী
আইনজীবি =>আইনজীবী
পরিষ্কার =>পরিষ্কার;
মূহুর্ত =>মুহূর্ত
মন্ত্রীসভা =>মন্ত্রিসভা।
৩। ক) আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করা হলো:
১. সিদ্ধান্ত আবেগ:
এ জাতীয় শব্দের সাহায্যে অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন: হ্যাঁ, আমাদের জিততেই হবে। বেশ, তবে যাওয়াই যাক।
২. প্রশংসা আবেগ:
এ ধরনের শব্দ প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন: শাবাশ! এমন খেলাই তো চেয়েছিলাম।
বাহ! চমৎকার লিখেছ।
৩. বিরক্তি আবেগ:
এ ধরনের শব্দ অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ছি ছি! এরকম কথা তার মুখে মানায় না। জ্বালা! তোমাকে নিয়ে আর পারি না।
৪. আতঙ্ক আবেগ:
এ ধরনের আবেগ-শব্দ আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন: উহ্, কী বিপদে পড়া গেল।
বাপরে বাপ! কী ভয়ঙ্কর ছিল রাক্ষসটা।
৫. বিস্ময় আবেগ:
এ ধরনের শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে। যেমন: আরে। তুমি আবার কখন এলে? আহ্, কী চমৎকার দৃশ্য।
৬. করুণা আবেগ:
এ ধরনের শব্দ করুণা, মায়া, সহানুভূতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন:
আহা! বেচারার এত কষ্ট।
হায় হায়! ওর এখন কী হবে।
৭. সম্বোধন আবেগ:
এ ধরনের শব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন: হে বন্ধু, তোমাকে অভিনন্দন।
ওগো, তোরা জয়ধ্বনি কর।
৮. অলংকার আবেগ:
এ ধরনের শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্যে অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
দুর! এ কথা কি বলতে আছে?
যাকগে, ওসব কথা থাক।
অথবা, খ) নিম্নরেখ শব্দগুলোর ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ কর (যে কোনো পাঁচটি):
i) আমার ময়না কথা কয় না।
ii) বাড়ির সকলে তো রাগিয়া আগুন।
iii) একদিন শোনা গেল সে মর-মর।
iv) আরে! তুমি এখন এলে?
v) সত্যিকার মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনারই ফসল।
vi) শকুনরা উড়ে এসে বসছে পাতাশূন্য শুকনো গাছটায়।
vii) মাসি বলে, এত রাতে?
viii) আহা! বৃষ্টির ঝমঝম বোল।
পাঁচটি ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ করা হলো:
i) বিশেষ্য
ii) বিশেষণ
iii) ক্রিয়া
iv) আবেগ
v) বিশেষণ
vi) অসমাপিকা ক্রিয়া
vii) বিশেষণ
viii) আবেগ।
৪। ক) উপসর্গ কাকে বলে? যে কোনো চারটি বিদেশি উপসর্গের সাহায্যে একটি করে শব্দ গঠন কর।
উপসর্গ:
যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে তাকে উপসর্গ বলে। যেমন: অ+কাজ = অকাজ, সু+দিন= সুদিন, দূর+দিন= দুর্দিন ইত্যাদি।
৪টি বিদেশি উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ:
উপসর্গ+মূলশব্দ+উপসর্গ সাধিত শব্দ
১. আম+জনতা=আমজনতা
২. গর+হাজির=গরহাজির
৩. হেড+মাস্টার=হেডমাস্টার
৪. বে+দখল=বেদখল
অথবা, খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর (যে কোনো পাঁচটি):
প্রদত্ত শব্দ = ব্যাসবাক্য = সমাসের নাম
গজানন = গজের আননের ন্যায় আনন যার = মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
ভাষান্তর = অন্য ভাষা = নিত্য সমাস
বাগদত্তা = বাক্ দ্বারা দত্তা = তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস
লালচে = ঈষৎ লাল =অব্যয়ীভাব সমাস
অরুণরাঙা = অরুণের ন্যায় রাঙা = উপমান কর্মধারয় সমাস
আত্মীয়স্বজন = আত্মীয় ও স্বজন = দ্বন্দ্ব সমাস
জীবনতরী = জীবন রুপ তরী = রূপক কর্মধারায়
প্রশান্তি = প্রকৃষ্ট যে শান্তি = প্রাদি সমাস।
৫। ক) বাক্য কাকে বলে? অর্থানুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
বাক্য:
যে পদ বা পদ সমষ্টি দ্বারা বক্তার পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে। যেমন: আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি।
অর্থগতভাবে বাংলা বাক্যসমূহকে সাধারণত সাত ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-
১. বর্ণনামূলক বাক্য:
যে বাক্য যারা সাধারণভাবে কোনো কিছু বর্ণনা বা বিবৃত করা হয় তাকে বর্ণনামূলক বাক্য বলে।
যেমন: গরু মাঠে ঘাস খায়। গাছে গাছে ফুল ফুটেছে। একে নির্দেশাত্মক বা বিবৃতিমূলক বাক্যও বলা হয়ে থাকে।
বর্ণনামূলক বাক্য দুরকম হয়ে থাকে। যথা-
ক. অস্তিবাচক:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের অস্তিত্ব বা হ্যাঁ-সূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে অস্তিবাচক বাক্য বলে।
যেমন: দিবা চুপ করে রইল।
খ. নেতিবাচক:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের না-সূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে নেতিবাচক বাক্য বলে।
যেমন: দিবা কোনো কথা বলল না।
২. প্রশ্নসূচক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা সরাসরি কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয় তাকে প্রশ্নসূচক বাক্য বলে।
যেমন: তোমার নাম কী ? তুমি কোন ক্লাসে পড়? একে প্রশ্নাত্মক বা প্রশ্নবোধক বাক্যও বলা হয়।
৩. ইচ্ছাসূচক বাক্য:
যে বাক্যে মনের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা বা প্রার্থনা প্রকাশ পায় তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে।
যেমন: যদি দশ কোটি টাকা পেতাম। জীবনে সফল হও। একে প্রার্থনাসূচক বাক্যও বলা হয়।
৪. আজ্ঞাসূচক বাক্য:
যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, আবেদন, অনুরোধ ইত্যাদি বোঝায় তাকে আজ্ঞাসূচক বাক্য বলে।
যেমন: ওখানে গিয়ে বসো। সদা সত্য কথা বলবে। দয়া করে কলমটি দাও।
৫. আবেগসূচক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা মনের আকস্মিক আবেগ বা উচ্ছ্বাস প্রকাশ পায় তাকে আবেগসূচক বাক্য বলে।
যেমন: আহ! কী আরাম!এও কি সম্ভব!
৬. সংশয়সূচক বাক্য:
নির্দেশাত্মক বাক্যের বক্তব্যের বিষয় সম্পর্কে সন্দেহ, সংশয়, সম্ভাবনা, অনুমান, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পেলে তাকে সংশয়সূচক বাক্য বলে। একে সন্দেহদ্যোতক বাক্যও বলা হয়। এ ধরনের বাক্যে হয়তো, বুঝি, বুঝিবা, সম্ভবত, বোধ হয়, থাকি, নিশ্চয় প্রভৃতি সন্দেহসূচক শব্দ ব্যবহূত হয়।
যেমন: বোধ হয় আয় আর আসবেনা। সম্ভবত দিবার ব্যস্ততা বেড়েছে।
৭. কার্যকারণাত্মক বাক্য:
যে বাক্যে কোনো বিশেষ শর্তের অধীনে ক্রিয়া নিষ্পত্তি হয় তাকে কার্যকারণাত্মক বাক্য বলে। একে শর্তসূচক বাক্যও বলা হয়।
যেমন: কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না। নিয়মিত পড়ালেখা না করলে ভালো ফল হয় না
অথবা, খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যে কোনো পাঁচটি বাক্য রূপান্তর কর:
প্রদত্ত বাক্য =>বাক্যান্তর
i) এখানে আমি বহুদিন আগে এসেছি। (নেতিবাচক)
=>এখানে আমার আসা অল্পদিনের নয়।
ii) জানিতাম না দেনাপাওনা কী স্থির হইল। (অস্তিবাচক)
=>দেনাপাওনার বিষয় আমার অজানা ছিল।
iii) কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। (জটিল)
=>যারা কীর্তিমান, তাদের মৃত্যু নেই।
iv) প্রকৃতির যে ধর্ম মানুষের সে ধর্ম। (সরল)
=>প্রকৃতির ধর্মই মানুষের ধর্ম।
v) মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না। (প্রশ্নবোধক)
=>মানুষটা কি সমস্ত রাত খেতে পাবে?
vi) বাংলাদেশের চিরস্থায়িত্ব কামনা করি। (ইচ্ছাসূচক)
=>বাংলাদেশ চিরস্থায়ী হোক।
vii) সংবাদটি পড়ে মর্মাহত হলাম। (আবেগসূচক)
=>আহা! সংবাদটি পড়ে কী মর্মাহত হলাম।
viii) তোমাকে এই খাতায় লিখতে হবে। (অনুজ্ঞাবাচক)
=>তুমি এই খাতায় লেখো।
৬। ক) যে কোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ:
অশুদ্ধ বাক্য =>শুদ্ধ বাক্য
i) তার সাথে আমার সখ্যতা আছে।
=>তার সাথে আমার সখ্য আছে।
ii) আপনার কি মনে হয় না, বিধি লঙ্ঘন হয়েছে?
=>আপনার কি মনে হয় না, বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে?
iii) আমি স্বরস্বতী কোলে গজাননের ছোট ভাইটি।
=>আমি অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোটো ভাইটি।
iv) সবার সু-স্বাস্থ্য কামনা করছি।
=>সবার সুস্থতা কামনা করছি।
v) কারো ফাগুন মাস, কারো সর্বনাশ।
=>কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ।
vi) অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।
=>অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা।
vii) সে কুপুরুষের মতো কথা বলছে।
=>সে কাপুরুষের মতো কথা বলছে।
viii) মিলিটারি এখন যাবতীয় গাড়িগুলো থামোচ্ছে।
=>মিলিটারি এখন যাবতীয় গাড়ি থামাচ্ছে।
অথবা, খ) অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:
শহরের বাজারে তরিতরকারী ফলমূলের দাম অতি চড়া। গা থেকে কিনে বাজারে গিয়ে বেঁচে আসে তারা, কিছু রোজগার হবে। একা মাসির ভর হয় না সালতি বেয়ে অতদূর যেতে, যাওয়া-আসাও একার দাড়া হবে না তার।
শুদ্ধ অনুচ্ছেদ:
শহরের বাজারে তরিতরকারি ফলমূলের দাম চড়া। গাঁ থেকে কিনে যদি বাজারে গিয়ে বেচে আসে তারা, কিছু রোজগার হবে। একা মাসির ভরসা হয় না সালতি বেয়ে অতদূর যেতে, যাওয়া-আসাও একার দ্বারা হবে না তার।
এইচএসসি ২০২৫ দিনাজপুর বোর্ড বাংলা ২য় প্রশ্ন
খ বিভাগ নির্মিতি
মান-৭০
৭। যে কোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখ:
প্রদত্ত শব্দ => পারিভাষিক রূপ
Auction=>নিলাম
Bibliography=>গ্রন্থপঞ্জি
White-paper=>শ্বেতপত্র
Ethics=>নীতিবিদ্যা
Fascism=>ফ্যাসিবাদ
Interim=>অন্তর্বর্তীকালীন/মধ্যকালীন
Pay-bill=>বেতন-পত্র
Octave=>অষ্টক
Surplus=>উদ্বৃত্ত
Manpower=>জনশক্তি
Reform=>সংস্কার
Delta=>ব-দ্বীপ
Hoarder=>মজুতদার
Cargo=>মাল (জাহাজি মাল)
Thesis=>গবেষণা-সার, অভিসন্দর্ভ।
অথবা, খ) বাংলায় অনুবাদ কর:
Patriotism is love for one’s country. It is a powerful sentiment and wholly unselfish and noble. A patriot can sacrifice even his own life for the welfare of his country. It is an idealism that gives courage and strength, but false patriotism makes a man narrow-minded and selfish.
বঙ্গানুবাদ:
দেশপ্রেম হলো নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা। এটি একটি শক্তিশালী অনুভূতি, যা সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ ও মহৎ। একজন দেশপ্রেমিক তার দেশের মঙ্গলের জন্য নিজের জীবনও উৎসর্গ করতে পারে। এটি এমন একটি আদর্শ যা সাহস ও শক্তি যোগায়, তবে মিথ্যা দেশপ্রেম মানুষকে সংকীর্ণমনা ও স্বার্থপর করে তোলে।
৮। ক) কলেজের শেষ দিনের অনুভূতি বর্ণনা করে একটি দিনলিপি লেখ। ১০
অথবা, খ) বন্যার পরে তোমার এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
৯। ক) এইচএসসি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি জানিয়ে বন্ধুকে একটি বৈদ্যুতিন চিঠি লেখ। ১০
অথবা, খ) এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে পৌরসভার মেয়রের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখ।
১০। ক) সারাংশ লেখ:
অনেকের ধারণা এই যে, মহৎব্যক্তি শুধু উচ্চবংশেই জনন্মগ্রহণ করিয়া থাকেন, নিচুকূলে মহতের জন্ম হয় না। কিন্তু প্রকৃতির দিকে দৃষ্টিপাত করিলেই দেখা যায় মানুষের ধারণা অতিশয় ভ্রমাত্মক। পদ্মফুল ফুলের রাজা। রূপে গন্ধে সে অতুলনীয়। কিন্তু ইহার জন্ম হয় পানের অযোগ্য পানিভরা এঁদো পুকুরে। পক্ষান্তরে বটবৃক্ষ বৃক্ষের মধ্যে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন বটে, অথচ বহু বৃক্ষের ফল আমরা আস্বাদন করি, এত খ্যাতনামা যে বটগাছ তার ফল আমাদের অখাদ্য।
অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নহে।
১১। ক) খাদ্যে ভেজাল ও তার প্রতিকার বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর। ১০
অথবা, খ) “রক্ত দেই জীবন বাঁচাই” শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ।
১২। যে কোনো একটি বিষয় অবলম্বনে প্রবন্ধ লেখ:
ক) অধ্যবসায়
খ) একুশ আমার অহংকার
গ) বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প
স) মানব কল্যাণে বিজ্ঞান
ঙ) যুদ্ধ ও বর্তমান বিশ্ব।
(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)
- এইচএসসি ব্যাকরণ অংশের টোপিকভিত্তিক বোর্ড প্রশ্ন সমাধান একসাথে (২০১৬-২০২৫)
- এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৫)
- আলিম বাংলা ২য় বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)
- এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২৫)
- মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২০২৫)
- ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্ন (২০০৮-২০২৫)
 
