Rajshahi Board 2019 HSC bangla 2nd paper question & solution
রাজশাহী বোর্ড এইচএসসি ২০১৯ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্নসহ উত্তরমালা (ব্যাকরণ অংশ)
ক-বিভাগ (ব্যাকরণ অংশ)
মান: ৩০
১. ক) বাংলা ‘এ’ ধ্বনি উচ্চারণের যেকোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো। ৫
‘এ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম:
১. তৎসম শব্দের এ-এর উচ্চারণ সাধারণত অবিকৃত থাকে। যেমন: বেদনা (বেদোনা), দেবতা (দেবোতা)।
২. আদ্য এ-এর পরে ‘অ’ বা ‘আ’ থাকলে সেই ‘এ’ এর উচ্চারণ ‘অ্যা’ এর মতো হয়। যেমন: এক (অ্যাক্) তেমন (ত্যামোন্)।
৩. এ-কারযুক্ত ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয় যুক্ত হলে সেই ‘এ’-এর উচ্চারণ অ্যা-রূপে হয়ে থাকে। যেমন: খেলা (খ্যালা), বেলা (ব্যালা)।
৪. শব্দের শেষের এ-এর উচ্চারণ সাধারণত অবিকৃত থাকে। যেমন: পথে, ঘাটে, হাটে, মাঠে।
৫. একাক্ষর সর্বনাম পদের ‘এ’ সাধারণত অবিকৃত এ-রূপে উচ্চাতির হয়। যেমন: সে, যে, কে, রে।
অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখো:
প্রদত্ত শব্দ = উচ্চারণ
আশ্রম = আস্ স্রোম্
ভবিষ্যৎ = ভোবিশ্ শত্
বিজ্ঞপ্তি = বিগ্ গোঁপ্ তি
পুনঃপুন = পুনোপ্ পুনো
আবৃত্তি = আবৃত্ তি
ব্রাহ্মণ= ব্রাম্ হোন্
বৈসাদৃশ্য = বোই শাদৃশ্ শো
ষাণ্মাসিক = শান্ মাশিক্
২. ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো ৫
তৎসম শব্দের পাঁচটি নিয়ম:
১. যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ উ উভয়ই শুদ্ধ সেসব শব্দে কেবল ই বা উ এবং তার কারচিহ্নতি হবে। যেমন: কিংবদন্তি, চিৎকার, চুল্লি, ধমনি, পদবি, পল্লি, যুবতি, রচনাবলি, শ্রেণি, সরণি ইত্যাদি।
২. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: কর্ম, মর্ম, কার্য, সূর্য ইত্যাদি।
৩. সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পূর্বপদের অন্তস্থিত ম স্থানে অনুস্বার (ং) হবে। যেমন: অহম্+কার = অহংকার, সম্+গীত সংগীত ইত্যাদি।
৪. ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে-ত্ব ও-তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন: কৃতি >কৃতিত্ব, দায়ী >দায়িত্ব, প্রতিযোগী >প্রতিযোগিতা, মন্ত্রী >মন্ত্রিত্ব, সহযোগী >সহযোগিতা ইত্যাদি।
৫. শব্দের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। যেমন: প্রধানত, ক্রমশ, কার্যত, প্রথমত ইত্যাদি।
অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখো:
অশুদ্ধ বানান = শুদ্ধ বানান
আকাংখা = আকাঙ্ক্ষা
উপরোক্ত = উপর্যুক্ত
দুরাবস্থা = দুরবস্থা
নিশিথিনি = নিশীথিনী
প্রনয়ন = প্রণয়ন
মনকষ্ট = মনঃকষ্ট
সমিচীন = সমীচীন
সাতন্ত্র = স্বাতন্ত্র্য
৩. ক) আবেগ শব্দ কাকে বলে? আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো। ৫
আবেগ ও এর শ্রেণিবিভাগ :
আবেগ:
মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলা হয়। যেমন: ছি ছি, আহা, বাহ্, শাবাশ, হায় হায় ইত্যাদি।
নিচে বিভিন্ন ধরনের আবেগ শব্দের প্রয়োগ দেখানো হলো।
১. সিদ্ধান্ত আবেগ:
এ জাতীয় শব্দের সাহায্যে অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন: হ্যাঁ, আমাদের জিততেই হবে। বেশ, তবে যাওয়াই যাক।
২. প্রশংসা আবেগ:
এ ধরনের শব্দ প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন: শাবাশ! এমন খেলাই তো চেয়েছিলাম। বাহ! চমৎকার লিখেছ।
৩. বিরক্তি আবেগ:
এ ধরনের শব্দ অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ছি ছি! এরকম কথা তার মুখে মানায় না। জ্বালা! তোমাকে নিয়ে আর পারি না।
৪. আতঙ্ক আবেগ:
এ ধরনের আবেগ-শব্দ আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন: উহ্, কী বিপদে পড়া গেল। বাপরে বাপ! কী ভয়ঙ্কর ছিল রাক্ষসটা।
৫. বিস্ময় আবেগ:
এ ধরনের শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে। যেমন: আরে। তুমি আবার কখন এলে? আহ্, কী চমৎকার দৃশ্য।
৬. করুণা আবেগ:
এ ধরনের শব্দ করুণা, মায়া, সহানুভূতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন: আহা! বেচারার এত কষ্ট। হায় হায়! ওর এখন কী হবে।
৭. সম্বোধন আবেগ:
এ ধরনের শব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন: হে বন্ধু, তোমাকে অভিনন্দন। ওগো, তোরা জয়ধ্বনি কর।
৮. অলংকার আবেগ:
এ ধরনের শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্যে অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: দুর! এ কথা কি বলতে আছে? যাকগে, ওসব কথা থাক।
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি যৌগিক ক্রিয়া চিহ্নিত করো।
“চাহিয়া দেখিলাম– হঠাৎ কিছু বুঝিতে পারিলাম না। প্রথমে মনে করিলাম, ওয়েলিংটন হঠাৎ বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হইয়া আমার নিকট ভিক্ষা করিতে আসিয়াছে। প্রথম উদ্যমে, পাষাণবৎ কঠিন হইয়া, বলিব মনে করিলাম যে, ডিউক মহাশয়কে ইতিপূর্বে (ইতঃপূর্বে) যথোচিত পুরস্কার দেওয়া গিয়াছে, এক্ষণে আর অতিরিক্ত পুরষ্কার দেওয়া যাইতে পারে না।”
যৌগিক ক্রিয়া:
=>চাহিয়া দেখিলাম;
=>বুঝিতে পারিলাম;
=>করিতে আসিয়াছে;
=>দেওয়া গিয়াছে;
=>দেওয়া যাইতে পারে।
৪. ক) যেকোনো পাঁচটি শব্দের প্রত্যয়ের নামসহ প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করো। ৫
প্রদত্ত শব্দ=>প্রকৃতি+প্রত্যয়=প্রত্যয়ের নাম
=>ঝালাই = ঝাল + আই = তদ্ধিত প্রত্যয়
=>গোঙানি = গোঙা + আনি = তদ্ধিত প্রত্যয়
=>রাঁধুনি = রাঁধ + উনি = কৃৎ প্রত্যয়
=>নন্দন = √নন্দ্ + অন = কৃৎ প্রত্যয়
=>শ্রবণীয় = √শ্রু + অনীয় = কৃৎ প্রত্যয়
=>জ্ঞাতব্য = √জ্ঞা + তব্য = কৃৎ প্রত্যয়
=>প্যাঁচানো = প্যাঁচ্ + আনো = তদ্ধিত প্রত্যয়
=>ফলবন্ত = √ফল + বন্ত = তদ্ধিত প্রত্যয়
অথবা, খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো:
প্রদত্ত শব্দ=ব্যাসবাক্য=সমাসের নাম
আরক্তিম=ঈষৎ রক্তিম=অব্যয়ীভাব
আয়কর = আয়ের ওপর ধার্য কর = মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
কুশীলব = কুশ ও লব = দ্বন্দ্ব
সশস্ত্র = অস্ত্রসহ বর্তমান = বহুব্রীহি
চতুর্দশপদী = চতুর্দশ পদ যার = বহুব্রীহি
নীলাম্বর = নীল অম্বর যার = বহুব্রীহি
পঙ্কজ = পঙ্কে জন্মে যা = উপপদ তৎপুরুষ
প্রবচন = প্র (প্রকৃষ্ট) বচন = প্রাদি সমাস
৫. ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলো উদাহরণসহ লেখো। ৫
বাক্য:
যে পদ বা পদ সমষ্টি দ্বারা বক্তার পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে। যেমন: আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি।
বাক্যের গুণ:
অর্থ স্পষ্ট হওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি, সম্পূর্ণ-মনোভাব প্রকাশ এবং অর্থগত ও ভাবগত মেল বন্ধন হলো বাক্যের গুণ।
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। যথা-
ক. আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অন্তর্গত একটি পদের পর তার পরবর্তী পদ শোনার যে আগ্রহ তাকেই আকাঙ্ক্ষা বলে। একটি সার্থক বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়। কোনো বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকলে তা বাক্য হিসেবে সার্থক হয় না। যেমন: ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বললে শ্রোতার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় না কিন্তু ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ বললে শ্রোতার আর আকাঙ্ক্ষা থাকে না। সুতরাং ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বাক্য নয়, ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ একটি সার্থক বাক্য।
খ. আসত্তি:
বাক্যের সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকেই আসত্তি বলে। বাক্যস্থিত পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ না হলে তাকে বাক্য বলা যায় না। যেমন: ‘সাদা বকের দল আকাশে উড়ছে।’ উল্লিখিত বাক্যে পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ হওয়ায় এটি একটি সার্থক বাক্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই পদসমষ্টিকে যদি সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস না করে বলা হয়, ‘সাদা উড়ছে দল বকের আকাশে’ তাহলে আসত্তি গুণের অভাবে বাক্যটি সার্থক হবে না। তাই একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আসত্তি গুণটি থাকতে হবে।
গ. যোগ্যতা:
বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলোর অর্থ ও ভাবগত মিল বা সামঞ্জস্যকে যোগ্যতা বলে। একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অর্থ ও ভাবগত অন্বয় রক্ষিত না হলে বাক্য তার যোগ্যতা হারায়। যেমন: ‘গরুগুলো আকাশে উড়ছে।’ বাক্যটিতে আকাঙ্ক্ষা এবং আসত্তি গুণ রক্ষিত হলেও এটি সার্থক বাক্য নয়; কেননা, এতে ব্যবহৃত পদগুলোর সঙ্গে ভাবের কোনো সাদৃশ্য নেই। কিন্তু এর পরিবর্তে যদি বলা হয়, ‘পাখিগুলো আকাশে উড়ছে।’ তাহলে এটি যোগ্যতাসম্পন্ন একটি সার্থক বাক্য হয়ে উঠবে।
অথবা, খ) নির্দেশ অনুসারে যেকোনো পাঁচটির বাক্যান্তর করো:
প্রদত্ত বাক্য =>বাক্যান্তর
i. দেশকে ভালোবেসে শত শহিদ জীবন উৎসর্গ করেছেন। (প্রশ্নবাচক)
=>দেশকে ভালোবেসে কি শত শহিদ জীবন উৎসর্গ করেননি?
ii. ইহাদের ন্যায় রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই। (জটিল)
=>ইহারা যেমন রূপবতী তেমন রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই।
iii. জননী ও জন্মভূমি কি স্বর্গের চেয়েও প্রিয় নয়? (নির্দেশাত্মক)
=>জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও প্রিয়।
iv. একেই কি বলে সভ্যতা? (নেতিবাচক)
=>একেই সভ্যতা বলে না-।
v. শম্ভুনাথ এ কথায় একেবারে যোগই দিলেন না। (অস্তিবাচক)
=>শম্ভুনাথ এ কথায় যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকলেন।
vi. যা বার্ধক্য, তাকে সবসময় বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। (সরল)
=>বার্ধক্যকে সবসময় বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না।
vii. পরশমণির বয়স হইলেও শিক্ষা হয় নাই। (যৌগিক)
=>পরশমণির বয়স হয়েছে কিন্তু শিক্ষা হয়নি।
viii. ভুলগুলো এখনই সংশোধন করতে বলছি। (অনুজ্ঞাবাচক)
=>ভুলগুলো এখনই সংশোধন করো।
৬. ক) যেকোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখো: ০৫
প্রদত্ত বাক্য =>শুদ্ধ বাক্য
i.পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির।
=>পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির।
ii. শতাব্দীর দুচোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
=>শতাব্দীর দুচোখ জলে ভেসে গেল।
iii. শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করব।
=>শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেব।
iv.আসছে ২ এপ্রিল, ২০১৯ আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে।
=>আগামী ২ এপ্রিল ২০১৯ আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে।
v. চোরটাকে পূর্ণচন্দ্র দিয়ে বিদায় কর।
=>চোরটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করো।
vi.যাবতীয় প্রাণীবৃন্দ এই গ্রহের বাসিন্দা।
=>সকল প্রাণীই এই গ্রহের বাসিন্দা।
vii.সারাজীবন ভূতের মজুরি খেটে মরলাম।
=>সারাজীবন ভূতের বেগার খেটে মরলাম।
viii. পাহাড়ের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যতা আমাদের মুগ্ধ করে।
=>পাহাড়ের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য আমাদের মুগ্ধ করে।
অথবা, খ) অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখো:
আমাদের বঙ্গভূমি সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা, তবু চাষার উদরে অন্ন নাই কেন? ইহার উত্তর শ্রদ্ধাশীল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দিয়েছেন, “ধান তার বসুন্ধরা যার।” তাই তো, অভাগা চাষাবৃন্দ কে? সে কেবলমাত্র “ক্ষেতে ক্ষেতে পুইড়া মরিবে” হাল বহন করিবে আর পাট উৎপন্ন করিবে। তাহা হইলে চাষার ঘরে যে “মোরাই-ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, উঠান ভরা মুরগি ছিল,” একথার অর্থ কী?
শুদ্ধ অনুচ্ছেদ:
আমাদের বাংলাদেশ সুজলা, সুফলা, শস্য- শ্যামলা’- তবু চাষার পেটে ভাত নেই কেন? এর উত্তর শ্রদ্ধেয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দিয়েছেন, ‘ধান তার বসুন্ধরা যার।’ তাই তো অভাগা চাষা কে? সে কেবল খেতে খেতে পুড়ে মরবে, হাল বাইবে আর পাট উৎপাদন করবে। তাহলে চাষার ঘরে যে ‘মোরাই-ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, উঠান ভরা মুরগি ছিল’ এ কথার অর্থ কী?
এইচএসসি ২০১৯ বাংলা ২য় পত্র রাজশাহী বোর্ড (নির্মিতি অংশ)
খ-বিভাগ (নির্মিতি অংশ)
মান: ৭০
৭. ক) যেকোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখো: ১০
প্রদত্ত শব্দ =>পারিভাষিক শব্দ
Plosive =>স্পষ্ট ধ্বনি
Annexation =>সংযুক্তি
Undertaking =>অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি
Prescription =>ব্যবস্থাপত্র
By-election =>উপনির্বাচন
*Racism =>বর্ণবাদ
Correspondent =>সংবাদদাতা
Latitude =>অক্ষাংশ
Eye-wash =>ধোঁকা
Hostage =>জিম্মি
Banquet =>ভোজ, ভোজনোৎসব
*Bulletin =>ক্ষুদ্র ইশতেহার
Grant =>অনুদান
Dynamic =>গতিশীল, প্রাণবন্ত
*Ethics =>নীতিশাস্ত্র
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ করো:
Shaheed Minar is the symbol of our love and sincerity for supreme sacrifice of our language martyrs. It is located in front of Dhaka Medical College. Hamidur Rahaman a famous architect designed this significant monument. Its vertical lines symbolize the manifestations of inner strength. The four columns on both sides of the centeral structure reflect the balance and harmony of united stand. Today, It has become a part of our political as well as cultural achievement and national source of inspiration.
বঙ্গানুবাদ:
ভাষা আন্দোলনের শহিদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতীক শহিদ মিনার। এটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থিত। প্রখ্যাত স্থপতি হামিদুর রহমান এই গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিসৌধটির নকশা করেন। এর উল্লম্ব রেখাগুলি মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তির প্রতীক। কেন্দ্রীয় কাঠামোর দুপাশের চারটি স্তম্ভ ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের মধ্যে ভারসাম্য ও সুসঙ্গতিকে তুলে ধরেছে। শহিদ মিনার আজ আমাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অর্জনের অংশ এবং জাতীয় উদ্দীপনার উৎস হয়ে উঠেছে।
৮. ক) একটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো। ১০
অথবা, খ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন লেখো।
৯. ক) মনে করো, তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাও। উক্ত বিশ্ববিদ্যলয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি ই-মেইল লেখো। ১০
অথবা, খ) দেশের বর্তমান যুবসমাজের মাদকাসক্তি ও নৈতিক অবক্ষয় রোধের উপায় সম্পর্কে মতামত জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লেখো।
১০. ক) সারমর্ম লেখো:
স্বাধীনতা স্পর্শমণি সবাই ভালোবাসে,
সুখের আলো জ্বলে বুকে দুঃখের ছায়া নাশে
স্বাধীনতা সোনার কাঠি খোদার সুধা দান
স্পর্শে তাহার নেচে ওঠে শূন্য দেহে প্রাণ।
মনুষ্যত্বের বান ডেকে যায় যাহার হৃদয় তলে,
বুক ফুলিয়ে দাঁড়ায় ভীরু স্বাধীনতার বলে।
অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো:
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।
১১. ক) মনে করো তুমি সাকিব। তোমার বন্ধু লিমন। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা করো। ১০
অথবা, খ) নিচের উদ্দীপক অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা করো:
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার ইচ্ছা স্বপ্নিল ও মুনার অনেক দিনের। তারা শ্রীপুর গ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধার কাছে গেল মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে……
১২. যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ লেখো:
ক. তথ্যপ্রযুক্তি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ
খ. বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মুক্তি
গ. জাতীয় জীবনে দেশপ্রেমের গুরুত্ব
ঘ. বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প: সমস্যা ও সম্ভাবনা
ঙ. বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ
(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)
এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)
এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২৪)