HSC 2019 Chattogram board Bangla 2nd Paper Question & Solution
চট্টগ্রাম বোর্ড এইচএসসি ২০১৯ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্নসহ উত্তরমালা (ব্যাকরণ অংশ)
ক-বিভাগ (ব্যাকরণ অংশ)
মান: ৩০
১. ক) ‘অ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো। ৫
অ ধ্বনি উচ্চারণের ৫টি নিয়ম :
১. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-এর মতো হয় হয়।
যেমন: গদ্য (গোদ্ দো), কল্যাণ (কোল্ লান্)/(কোল্ ল্যান্)।
২. আদ্য ‘অ’-এর পর ‘ক্ষ’ থাকলে সে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’-এর মতো হয়। যেমন: দক্ষ (দোক্ খো), লক্ষণ (লোক্ খোন্)।
৩. মধ্য ‘অ’-এর আগে যদি ‘অ’ থাকে তবে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়ে থাকে। যেমন: যতন (জতোন্), কমল (কমোল্)।
৪. মধ্য ‘অ’-এর আগে ‘আ’ থাকলে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়। যেমন: কানন (কানোন্), ভাষণ (ভাশোন্)।
৫. শব্দের শেষে যুক্তব্যঞ্জন থাকলে শেষের ‘অ’ সাধারণত ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন : যত (জতো) অজ (অজো)।
অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখো:
প্রদত্ত শব্দ = উচ্চারণ
অদ্য = ওদ্ দো
ইতঃপূর্বে = ইতোপ্ পুর্ বে
ঐশ্বর্য = ওইশ্ শোর্ জো
বৈশাখ = বোইশাখ্
অধ্যক্ষ = ওদ্ ধোক্ খো
ব্যাখ্যা = ব্যাক্ খা
ছাত্র = ছাত্ ত্রো
চিহ্ন = চিন্ হো।
২. ক) প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখো: ৫
প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম:
১. সকল অতৎসম শব্দের বানানে ই-কার হবে। যেমন: কাহিনি, সরকারি ইত্যাদি।
২. সকল অতৎসম শব্দের বানানে উ-কার হবে। যেমন: চুন, পুজো, পুব ইত্যাদি।
৩. অতৎসম শব্দে ‘ক্ষ’ এর স্থলে ‘খ’ হবে। যেমন: খিদে, খুর ইত্যাদি।
৪. ভাষা ও জাতিবাচক শব্দে ই-কার হবে। যেমন: জাপানি, আরবি ইত্যাদি।
৫. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: কর্ম, মর্ম ইত্যাদি।
অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখো:
অশুদ্ধ বানান = শুদ্ধ বানান
আকাংখা = আকাঙ্ক্ষা
অহোরাত্রি = অহোরাত্র
পুরষ্কার = পুরস্কার
কৃতিবাস = কৃত্তিবাস
মুমূর্ষ = মুমূর্ষু
মরিচিকা = মরীচিকা
শিরচ্ছেদ = শিরশ্ছেদ
বানিজ্য = বাণিজ্য
৩. (ক) উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো। ৫
সর্বনাম ও এর শ্রেণিবিভাগ:
সর্বনাম :
বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দকে সর্বনাম বলে। যেমন: শিহাব মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে। সে তার বন্ধুদের সহযোগিতা করে। এখানে প্রথম বাক্যের শিমুলের পরিবর্তে দ্বিতীয় বাক্যে ব্যবহৃত ‘সে’ হলো সর্বনাম। বিশষ্যের মতো সর্বনামের সঙ্গেও বিভক্তি, বচন, বলক ও নির্দেশক বসে।
সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ:
সর্বনামকে নয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
১. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম:
ব্যক্তিবাচক সর্বনাম ব্যক্তিনামের পরিবর্তে বসে।
এই সর্বনাম তিন ধরনের:
ক. বক্তা পক্ষের সর্বনাম:
আমি, আমরা, আমাকে, আমাদের ইত্যদি।
খ. শ্রোতা পক্ষের সর্বনাম:
তুমি, তোমরা, তুই, তোরা, আপনি, আপনারা, তোমাকে, তোকে, আপনাকে ইত্যাদি।
গ. অন্য পক্ষের সর্বনাম:
সে, তারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ওর, ওদের ইত্যাদি।
শ্রোতাপক্ষ ও অন্যপক্ষের সর্বনামকে মর্যাদা অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
সাধারণ সর্বনাম: তুমি, সে,
মানী সর্বনাম: আপনি, তিনি, ইনি, উনি
ও ঘনিষ্ঠ সর্বনাম: তুই, এ, ও।
২. আত্মবাচক সর্বনাম:
কর্তা নিজেই কোনো কাজ করেছে, এ ভাবটি জোর দিয়ে বোঝানোর জন্য এ ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়। যেমন: নিজে (সে নিজে অঙ্কটা করছে), স্বয়ং ইত্যাদি।
৩. নির্দেশক সর্বনাম:
যে সর্বনাম নৈকট্য বা দূরত্ব নির্দেশ করে, তাকে নির্দেশক সর্বনাম বলে। যেমন: নিকট নির্দেশক: এ, এই, এরা, ইনি; দূর নির্দেশক। ও, ওই, ওরা, উনি।
৪. অনির্দিষ্ট সর্বনাম:
অনির্দিষ্ট বা পরিচয়হীন কিছু বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে অনির্দিষ্ট সর্বনাম বলে। যেমন: কেউ, কোথাও, কিছু, একজন (একজন এসে খবরটা দেয়) ইত্যাদি।
৫. প্রশ্নবাচক সর্বনাম:
প্রশ্ন তৈরির জন্যে প্রশ্নবাচক সর্বনাম প্রয়োগ করা হয়। যেমন: কে, কারা, কাকে, কার, কী (কী দিয়ে ভাত খায়?) ইত্যাদি।
৬. সাপেক্ষ সর্বনাম:
পরস্পর নির্ভরশীল দুটি সর্বনামকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। যেমন: যারা-তারা, যে-সে, যেমন-তেমন (যেমন কর্ম তেমন ফল) ইত্যাদি।
৭. পারস্পরিক সর্বনাম:
দুই পক্ষের সহযোগিতা বা নির্ভরতা বোঝাতে পারস্পরিক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: পরস্পর, নিজেরা নিজেরা (যাবতীয় দ্বন্দ্ব নিজেরা নিজেরা মিটমাট করে) ইত্যাদি।
৮. সকলবাচক সর্বনাম:
ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টি বোঝাতে সকলবাচক সর্বনাম হয়। যেমন: সবাই, সকলে, সকলকে, সবার, সমস্ত, সব ইত্যাদি।
৯. অন্যবাচক সর্বনাম:
নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বোঝাতে অন্যবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: অন্য, অপর, পর, অমুক ইত্যাদি।
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি ক্রিয়া বিশেষণ চিহ্নিত করো:
ইট বসানো রাস্তা দিয়ে করিম বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ দেখতে পেল চলন্ত বাস থেকে যাত্রীরা লাফিয়ে নামছে। হাঁটা-পথের অনেকেই দৃশ্যটি তাকিয়ে দেখল। কয়েকজনের যায়-যায় অবস্থা। কাঁদো-কাঁদো চেহারার মানুষগুলোকে দেখে করিম মনে কষ্ট পেল।
ক্রিয়া বিশেষণ:
=>রাস্তা দিয়ে
=>বাড়ি
=>হঠাৎ
=>বাস থেকে
=>লাফিয়ে,
=>তাকিয়ে,
৪. ক) যেকোনো পাঁচটি শব্দের প্রত্যয়ের নামসহ প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করো: ৫
প্রদত্ত শব্দ = প্রকৃতি + প্রত্যয় = প্রত্যয়ের নাম
সৌন্দর্য = সুন্দর + য = তদ্ধিত প্রত্যয়
বাদলা = বাদল + আ = তদ্ধিত প্রত্যয়
মোড়ক = √মুড়্ + অক = কৃৎ প্রত্যয়
বার্ষিক = বর্ষ + ইক = তদ্ধিত প্রত্যয়
কাঠুরে = কাঠ + উরিয়া>উরে = তদ্ধিত প্রত্যয়
দেশি = দেশ + ই = তদ্ধিত প্রত্যয়
বহতা = √বহ্ + তা = কৃৎ প্রত্যয়
রান্না = √রাধ্ + না = কৃৎ প্রত্যয়
অথবা, খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো (যেকোনো পাঁচটি):
প্রদত্ত শব্দ = ব্যাসবাক্য = সমাসের নাম
আমরণ = মরণ পর্যন্ত = অব্যয়ীভাব
নদীমাতৃক = নদী মাতা যার = বহুব্রীহি
সাতসতেরো = সাত ও সতেরো = দ্বন্দ্ব
ভবনদী = ভব রূপ নদী = রূপক কর্মধারয়
রাজহংস = হংসের রাজা = ষষ্ঠী তৎপুরুষ
কাজল কালো = কাজলের এর ন্যায় কালো = উপমান কর্মধারয়
পকেটমার = পকেট মারে যে = উপপদ তৎপুরুষ
সপ্তর্ষি = সপ্ত ঋষির সমাহার = দ্বিগু
৫. ক) অর্থানুসারে বাংলা বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ লেখো। ৫
অর্থগতভাবে বাংলা বাক্যসমূহকে সাধারণত সাত ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-
১. বর্ণনামূলক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা সাধারণভাবে কোনো কিছু বর্ণনা বা বিবৃত করা হয় তাকে বর্ণনামূলক বাক্য বলে। যেমন: গরু মাঠে ঘাস খায়। গাছে গাছে ফুল ফুটেছে। একে নির্দেশাত্মক বা বিবৃতিমূলক বাক্যও বলা হয়ে থাকে।
বর্ণনামূলক বাক্য দুরকম হয়ে থাকে। যথা-
ক. অস্তিবাচক:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের অস্তিত্ব বা হ্যাঁ-সূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে অস্তিবাচক বাক্য বলে। যেমন: দিবা চুপ করে রইল।
খ. নেতিবাচক:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের না-সূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে নেতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: দিবা কোনো কথা বলল না।
২. প্রশ্নসূচক বাকা:
যে বাক্য দ্বারা সরাসরি কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয় তাকে প্রশ্নসূচক বাক্য বলে। যেমন: তোমার নাম কী ? তুমি কোন ক্লাসে পড়? একে প্রশ্নাত্মক বা প্রশ্নবোধক বাক্যও বলা হয়।
৩. ইচ্ছাসূচক বাক্য:
যে বাক্যে মনের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা বা প্রার্থনা প্রকাশ পায় তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন: যদি দশ কোটি টাকা পেতাম। জীবনে সফল হও। একে প্রার্থনাসূচক বাক্যও বলা হয়।
৪. আজ্ঞাসূচক বাক্য:
যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, আবেদন, অনুরোধ ইত্যাদি বোঝায় তাকে আজ্ঞাসূচক বাক্য বলে। যেমন: ওখানে গিয়ে বসো। সদা সত্য কথা বলবে। দয়া করে কলমটি দাও।
৫. আবেগসূচক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা মনের আকস্মিক আবেগ বা উচ্ছ্বাস প্রকাশ পায় তাকে আবেগসূচক বাক্য বলে। যেমন: দারুণ! আমরা জিতে গেছি।
৬. সংশয়সূচক বাক্য:
নির্দেশাত্মক বাক্যের বক্তব্যের বিষয় সম্পর্কে সন্দেহ, সংশয়, সম্ভাবনা, অনুমান, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পেলে তাকে সংশয়সূচক বাক্য বলে। একে সন্দেহদ্যোতক বাক্যও বলা হয়। এ ধরনের বাক্যে হয়তো, বুঝি, বুঝিবা, সম্ভবত, বোধ হয়, থাকি, নিশ্চয় প্রভৃতি সন্দেহসূচক শব্দ ব্যবহূত হয়। যেমন: বোধ হয় আয় আর আসবেনা। সম্ভবত তিশার ব্যস্ততা বেড়েছে।
৭. কার্যকারণাত্মক বাক্য:
যে বাক্যে কোনো বিশেষ শর্তের অধীনে ক্রিয়া নিষ্পত্তি হয় তাকে কার্যকারণাত্মক বাক্য বলে। একে শর্তসূচক বাক্যও বলা হয়। যেমন: কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না। নিয়মিত পড়ালেখা না করলে ভালো ফল হয় না।
অথবা, খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যেকোনো পাঁচটি বাক্যান্তর করো:
প্রদত্ত বাক্য => বাক্যান্তর
i. মেঘনা আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে সাগরে পড়েছে। (যৌগিক)
=>মেঘনা আসামের লুসাই পাহাড়ে উৎপন্ন হয়েছে এবং সাগরে পড়েছে।
ii. তুমি যা বললে তা অসত্য। (সরল)
=>তুমি অসত্য বললে।
iii. মানুষ অমর নয়। (অস্তিবাচক)
=>মানুষ মরণশীল।
iv. তিনি দরিদ্র কিন্তু সৎ। (জটিল)
=>যদিও তিনি দরিদ্র তবু সৎ।
v. সরস্বতী বর দেবেন না। (প্রশ্নবোধক)
=>সরস্বতী বর দেবেন কি?
vi. সে সুন্দর গান গায়। (বিস্ময়সূচক)
=>বাহ! সে কী সুন্দর গান গায়।
vii. দুর্জনকে দূরে রাখা উচিত। (অনুজ্ঞা)
=>দুর্জনকে দূরে রাখবে।
viii. বিড়ালকে বুঝানো দায় হইল। (নেতিবাচক)
=>বিড়ালকে কোনোভাবেই বুঝানো গেল না।
৬. ক) যেকোনো পাঁচটি বাক্যের অপপ্রয়োগ শুদ্ধ করে লেখো: ৫
প্রদত্ত বাক্য =>শুদ্ধ বাক্য
i. এটা একটা লজ্জাস্কর ব্যাপার।
=>এটা একটা লজ্জাকর ব্যাপার।
ii. মাতাহীন শিশুর কী দুঃখ।
=>মাতৃহীন শিশুর কী দুঃখ!
*iii. অশ্রু জলে তার বুক ভেসে গেল।
=>অশ্রুতে তার বুক ভেসে গেল।
iv. দৈন্যতা সব সময় প্রশংসনীয় নহে।
=>দীনতা সবসময় প্রশংসনীয় নহে।
v. সকল সভ্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
=>সভ্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
vi. বিরাট গরু ছাগলের হাট।
=>গরু ছাগলের বিরাট হাট।
vii. খাঁটি গরুর দুধ।
=>গরুর খাঁটি দুধ।
viii. একটা গোপনীয় কথা বলি।
=>একটা গোপন কথা বলি।
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদে অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করে লেখো:
আজিকাল বানানের ব্যাপারে সকল ছাত্ররাই অমনোযোগি। বানান শুদ্ধতম করে লেখার ব্যাপারে তাহারা তো সচেষ্টিত নয়ই বরং অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হয়, তাহারা যেন ভুল করিবার প্রতিযোগিতায় অবতির্ণ হয়েছে।
শুদ্ধ অনুচ্ছেদ :
আজকাল বানানের ব্যাপারে সব ছাত্রই অমনোযোগী। বানান শুদ্ধ করে লেখার ব্যাপারে তারা তো সচেষ্ট নয়ই, বরং অবস্থা দেখে মনে হয় তারা যেন ভুল করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
এইচএসসি ২০১৯ বাংলা ২য় পত্র চট্টগ্রাম বোর্ড (নির্মিতি অংশ)
খ-বিভাগ (নির্মিতি অংশ)
মান: ৭০
৭. ক) যেকোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক শব্দ লেখো: ১০
*Sabotage =>অন্তর্ঘাত
Catalogue =>গ্রন্থতালিকা
*Manifesto =>ইশতেহার
Home Ministry =>স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
Rank =>পদমর্যাদা
*Note =>মন্তব্য, টীকা
Secular =>ধর্মনিরপেক্ষ
Code =>সংকেত
Quality =>গুণ
*File =>নথি
Theory =>
Bio-data =>জীবনবৃত্তান্ত
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ করো:
Man cannot live alone. So he likes to keep company. He cannot do without the help of other even for a day. For this reason men have been living together for many days. This is called social life. None can go according to this sweet will in society.
বঙ্গানুবাদ :
মানুষ একাকী জীবনযাপন করতে পারে না। তাই সে সঙ্গী রাখতে পছন্দ করে। অন্যের সাহায্য ছাড়া একদিনও সে চলতে পারে না। এ কারণেই মানুষ বহু দিন থেকে একত্রে বসবাস করে আসছে। একেই বলে সমাজজীবন। সমাজে কেউ তার খেয়াল-খুশিমতো চলতে পারে না।
৮. ক) তোমার কলেজের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো। ১০
অথবা, খ) ‘মাদকের অপর নাম মৃত্যু’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের উপযোগী একটি ভাষণ তৈরি করো।
৯. ক) শিক্ষা সফরের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে একটি খুদেবার্তা লেখো: ১০
‘অথবা, খ) রাস্তা সংস্কারের আবশ্যকতা জানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি পত্র রচনা করো।
১০. ক) সারমর্ম লেখো: ১০
ফুটিয়াছে সরবরে কমল নিকর,
ধরিয়াছে কী আশ্চর্য শোভা মনোহর
গুণ গুণ গুণ রবে কত মধুকরে
কেমন পুলকে এরা মধুপান করে,
কিন্তু এরা এদিন হারাইবে যখন,
আসিবে কি অলি আর করিতে গুঞ্জন।
আশায় বঞ্চিত হলে আসিবে না আর
আর না করিবে এই মধুর ঝংকার;
সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়,
অসময়ে হায় হায় কেহ কারো নয়।
কেবল ঈশ্বর এই বিশ্বপতি যিনি,
সকল সময়ের বন্ধু সকলের তিনি।
অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো:
বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়। গুরু উত্তরসাধক মাত্র।
১১. ক) একটি পূর্ণিমা রাতের সৌন্দর্য প্রসঙ্গে দুই বন্ধুর * মধ্যে সংলাপ রচনা করো। ১০
অথবা, খ) প্রদত্ত শিরোনাম অবলম্বনে একটি খুদেগল্প লেখো: অসময়ের বন্ধু প্রকৃত বন্ধু।
১২. যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ লেখো: ২০
অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখো:
ক. স্বদেশপ্রেম
খ. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
গ. তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ
ঘ. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’
ঙ. নারীশিক্ষা ও জাতীয় উন্নয়ন
(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)
এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)
এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২৪)