HSC 2023 Rajshahi Board bangla 2nd paper question & solution
এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড ২০২৩ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্নসহ উত্তর মালা (ব্যাকরণ অংশ)
ক-বিভাগ (ব্যাকরণ অংশ)
মান:৩০
১. ক) উদাহরণসহ ‘অ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখো। ৫
অ-ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম:
১. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-এর মতো হয় হয়।
যেমন: গদ্য (গোদ্ দো), কল্যাণ (কোল্ লান্)/(কোল্ ল্যান্)
২. আদ্য ‘অ’-এর পর ‘ক্ষ’ থাকলে সে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’-এর মতো হয়।
যেমন: দক্ষ (দোক্ খো), লক্ষণ (লোক্ খোন্)।
৩. মধ্য ‘অ’-এর আগে যদি ‘অ’ থাকে তবে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়ে থাকে। যেমন: যতন (জতোন্), কমল (কমোল]।
৪. মধ্য ‘অ’-এর আগে ‘আ’ থাকলে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়।
যেমন: কানন (কানোন্), ভাষণ (ভাশোন্)।
৫. শব্দের শেষে যুক্তব্যঞ্জন থাকলে শেষের ‘অ’ সাধারণত ও-রূপে উচ্চারিত হয়।
যেমন: বক্ষ (বোক্ খো), শক্ত শক্তো।
অথবা, খ) নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ নির্দেশ করো:
প্রদত্ত শব্দ = উচ্চারণ
নদী = নোদি
ছাত্র = ছাত্ ত্রো
অক্ষর = ওক্ খোর্
অবিশ্বাস = অবিশ্ শাশ্
ঐকতান = ওইকোতান্/ওই্কোতান্
স্মরণীয় = শঁরোনিয়ো
গ্রাহ্য = গ্রাজ্ ঝো
উদাহরণ = উদাহরোন্
২. ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম দৃষ্টান্তসহ উল্লেখ করো। ৫
বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম:
১. সকল অতৎসম শব্দের বানানে ই-কার হবে। যেমন: কাহিনি, সরকারি ইত্যাদি।
২. সকল অতৎসম শব্দের বানানে উ-কার হবে। যেমন: চুন, পুজো, পুব ইত্যাদি।
৩. অতৎসম শব্দে ‘ক্ষ’ এর স্থলে ‘খ’ হবে। যেমন: খিদে, খুর ইত্যাদি।
৪. ভাষা ও জাতিবাচক শব্দে ই-কার হবে। যেমন: জাপানি, আরবি ইত্যাদি।
৫. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: কর্ম, মর্ম ইত্যাদি।
অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখো:
অশুদ্ধ বানান = শুদ্ধ বানান
অহোরাত্রি => অহোরাত্র
স্ববান্ধব => সবান্ধব
নিরব => নীরব
সুস্থ্য => সুস্থ
আমাবস্যা => অমাবস্যা
শুধুমাএ => শুধু/মাত্র
নির্দোষী => নির্দোষ
বন্দোপাধ্যায় => বন্দ্যোপাধ্যায়
৩. ক) উদাহরণসহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ করো। ৫
বিশেষ্য:
যেসব শব্দ দিয়ে ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান, বস্তু, ধারণা ও গুণের নাম বোঝায়, সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। যেমন: নজরুল, বাঘ, ঢাকা, ইট, ভোজন, সততা ইত্যাদি।
বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ:
বিশেষ্য সাধারণত ছয় প্রকার:
১. নাম-বিশেষ্য,
২. জাতি-বিশেষ্য,
৩. বস্তু-বিশেষ্য,
৪. সমষ্টি-বিশেষ্য,
৫. গুণ-বিশেষ্য
এবং ৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য।
১. নাম-বিশেষ্য:
ব্যক্তি, স্থান, দেশ, কাল, সৃষ্টি প্রভৃতির সুনির্দিষ্ট নামকে নাম-বিশেষ্য বলা হয়। যেমন:
ব্যক্তিনাম: হাবিব, সজল, লতা, শম্পা।
স্থাননাম: ঢাকা, বাংলাদেশ, হিমালয়, পদ্মা।
কালনাম:সোমবার, বৈশাখ, জানুয়ারি, রমজান।
সৃষ্টিনাম: গীতাঞ্জলি, সঞ্চিতা, ইত্তেফাক, অপরাজেয় বাংলা।
২. জাতি-বিশেষ্য:
জাতি-বিশেষ্য সাধারণ-বিশেষ্য নামেও পরিচিত। এ ধরনের বিশেষ্য নির্দিষ্ট কোনো নামকে না বুঝিয়ে প্রাণী ও অপ্রাণীর সাধারণ নামকে বোঝায়। যেমন: মানুষ, গরু, ছাগল, ফুল, ফল, নদী, সাগর, পর্বত ইত্যাদি।
৩. বস্তু-বিশেষ্য:
কোনো দ্রব্য বা বস্তুর নামকে বস্তু-বিশেষ্য বলে। যেমন ইট, লবণ, আকাশ, টেবিল, বই ইত্যাদি।
৪. সমষ্টি-বিশেষ্য:
এ ধরনের বিশেষ্য দিয়ে ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টিকে বোঝায়। যেমন জনতা, পরিবার, ঝাঁক, বাহিনী, মিছিল ইত্যাদি।
৫. গুণ-বিশেষ্য:
গুণগত অবস্থা ও ধারণার নামকে গুণ-বিশেষ্য বলে। যেমন সরলতা, দয়া, আনন্দ, গুরুত্ব, দীনতা, ধৈর্য ইত্যাদি।
৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য দিয়ে কোনো ক্রিয়া বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়া-বিশেষ্য বলে। যেমন- পঠন, ভোজন, শয়ন, করা, করানো, পাঠানো, নেওয়া ইত্যাদি।
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে নিম্নরেখ পদগুলোর ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ করো:
আজ সারাদিন আকাশ সাদা মেঘে ঢাকা। মৃদু বাতাস বইছে। রাজিব ভাঙা ছাতা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। আমি জানালায় দাঁড়িয়ে আপন মনে গান গাইছি। উহ! বড্ড ঠান্ডা।
ব্যাকরণিক শ্রেণি:
সাদা – বিশেষণ
বাতাস – বিশেষ্য
ভাঙা – বিশেষণ
গাইছি – ক্রিয়া
উহ – আবেগ শব্দ।
8. ক) উপসর্গ কাকে বলে? প্র, অপ, আ, সম, নি- উপসর্গগুলোর প্রত্যেকটির দ্বারা একটি করে শব্দ গঠন করো। ৫
উপসর্গ:
যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে তাকে উপসর্গ বলে। যেমন: অ+কাজ = অকাজ, সু+দিন= সুদিন, দূর+দিন= দুর্দিন ইত্যাদি।
প্র, অপ, আ, সম, নি উপসর্গগুলোযোগে গঠিত শব্দ:
উপসর্গ+মূলশব্দ+উপসর্গ সাধিত শব্দ
প্র+ভাত=প্রভাত
অপ+কর্ম=অপকর্ম
আ+হার=আহার
সম+পূর্ণ=সম্পূর্ণ
নি+খাদ=নিখাদ
অথবা, খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো: (যেকোনো পাঁচটি)
প্রদত্ত শব্দ = ব্যাসবাক্য = সমাসের নাম
হিতাহিত = হিত ও অহিত = দ্বন্দ্ব সমাস
আকণ্ঠ = কণ্ঠ পর্যন্ত = অব্যয়ীভাব সমাস
শতাব্দী = শত অব্দের সমাহার = দ্বিগু সমাস
ভাবান্তর = অন্য ভাব = নিত্য সমাস
রাজপথ = পথের রাজা = ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
মৃগনয়না = মৃগের ন্যায় নয়ন যার = মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
প্রাণপাখি = প্রাণ রূপ পাখি = রূপক কর্মধারয় সমাস
গৃহস্থ = গৃহে থাকে যে = উপপদ তৎপুরুষ সমাস
৫. ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যে কী কী গুণ থাকা প্রয়োজন? উদাহরণসহ আলোচনা করো। ৫
বাক্য:
যে পদ বা পদ সমষ্টি দ্বারা বক্তার পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে। যেমন: আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি।
বাক্যের গুণ:
অর্থ স্পষ্ট হওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি, সম্পূর্ণ-মনোভাব প্রকাশ এবং অর্থগত ও ভাবগত মেল বন্ধন হলো বাক্যের গুণ।
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। যথা-
ক. আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অন্তর্গত একটি পদের পর তার পরবর্তী পদ শোনার যে আগ্রহ তাকেই আকাঙ্ক্ষা বলে। একটি সার্থক বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়। কোনো বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকলে তা বাক্য হিসেবে সার্থক হয় না। যেমন: ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বললে শ্রোতার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় না কিন্তু ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ বললে শ্রোতার আর আকাঙ্ক্ষা থাকে না। সুতরাং ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বাক্য নয়, ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ একটি সার্থক বাক্য।
খ. আসত্তি:
বাক্যের সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকেই আসত্তি বলে। বাক্যস্থিত পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ না হলে তাকে বাক্য বলা যায় না। যেমন: ‘সাদা বকের দল আকাশে উড়ছে।’ উল্লিখিত বাক্যে পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ হওয়ায় এটি একটি সার্থক বাক্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই পদসমষ্টিকে যদি সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস না করে বলা হয়, ‘সাদা উড়ছে দল বকের আকাশে’ তাহলে আসত্তি গুণের অভাবে বাক্যটি সার্থক হবে না। তাই একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আসত্তি গুণটি থাকতে হবে।
গ. যোগ্যতা:
বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলোর অর্থ ও ভাবগত মিল বা সামঞ্জস্যকে যোগ্যতা বলে। একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অর্থ ও ভাবগত অন্বয় রক্ষিত না হলে বাক্য তার যোগ্যতা হারায়। যেমন: ‘গরুগুলো আকাশে উড়ছে।’ বাক্যটিতে আকাঙ্ক্ষা এবং আসত্তি গুণ রক্ষিত হলেও এটি সার্থক বাক্য নয়; কেননা, এতে ব্যবহৃত পদগুলোর সঙ্গে ভাবের কোনো সাদৃশ্য নেই। কিন্তু এর পরিবর্তে যদি বলা হয়, ‘পাখিগুলো আকাশে উড়ছে।’ তাহলে এটি যোগ্যতাসম্পন্ন একটি সার্থক বাক্য হয়ে উঠবে।
অথবা, খ) বন্ধনীর নির্দেশমতো যেকোনো পাঁচটি বাক্যের রূপান্তর করো:
প্রদত্ত বাক্য =>বাক্যান্তর
i. সূর্যোদয়ে অন্ধকার কেটে যাবে। (জটিল)
=>যখন সূর্যোদয় হবে তখন অন্ধকার কেটে যাবে।
ii. বিপদ ও দুঃখ একসাথে আসে। (সরল)
=>বিপদ এলে দুঃখও আসে।
iii. মন দিয়ে লেখাপড়া করা উচিত। (অনুজ্ঞা)
=>মন দিয়ে লেখা পড়া করো।
iv. আমাকে যেতে হবে। (নেতিবাচক)
=>আমাকে না গেলে হবে না।
v. নদীটি খুব সুন্দর। (বিস্ময়সূচক)
=>বাহ্! কী সুন্দর নদী।
vi. যিনি জ্ঞানী, তিনিই সত্যিকার ধনী। (সরল)
=>জ্ঞানী ব্যক্তিই সত্যিকারের ধনী।
vii. বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। (প্রশ্নবাচক)
=>বাংলাদেশ কি একটি উন্নয়নশীল দেশ নয়?
viii. তিনি আর বেঁচে নেই। (যৌগিক)
=>তিনি বেঁচে ছিলেন কিন্তু এখন নেই।
৬. ক) যেকোনো পাঁচটি বাক্যের অপপ্রয়োগ শুদ্ধ করো: ৫
প্রদত্ত বাক্য =>শুদ্ধ বাক্য
i. সব পাখিরা নীড় বাঁধে না।
=>সব পাখি নীড় বাঁধে না।
ii. পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ।
=>পরীক্ষা চলাকালীন ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
iii. এ বারের বন্যায় লোকটি সর্বশান্ত হলো।
=>এবারের বন্যায় লোকটি সর্বস্বান্ত হলো।
iv. আমার বক্তব্য আর দীর্ঘায়িত করবো না।
=>আমার বক্তব্য আর দীর্ঘ করব না।
v. ‘অপরাহ্ন’ শব্দটি লিখতে অনেকেই ভুল করেন।
=>’অপরাহ্ণ’ শব্দটি লিখতে অনেকেই ভুল করেন।
vi. মাতাহীণ শিশুর কী দুঃখ!
=>মাতৃহীন শিশুর কী দুঃখ!
vii. তাঁর সৌজন্যতায় মুগ্ধ হয়েছি।
=>তাঁর সৌজন্যে মুগ্ধ হয়েছি।
viii. আমি, তুমি ও সে আজ মেলায় যাবো।
=>তুমি, সে ও আমি আজ মেলায় যাব।
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করো:
পলাশের ছোট ভগ্নি বকুলের আজ বিয়ে। পলাশ আমার সবচেয়ে ঘনিষ্টতম বন্ধু। এ বিয়েতে সে আমাকে স্বপরিবারে নিমন্ত্রণ করলো। বরের বাড়িতে বিবাহোত্তর বর-কনের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেও সে আমাকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানালো। আশা করি, আসছে আগামীকাল আমরা ঐ বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান করবো।
শুদ্ধ অনুচ্ছেদ :
পলাশের ছোট বোন বকুলের আজ বিয়ে। পলাশ আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ বিয়েতে সে আমাকে সপরিবারে নিমন্ত্রণ করল। বরের বাড়িতে বিবাহোত্তর বর-কনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও সে আমাকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানাল। আশা করি, আগামীকাল আমরা ঐ বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান করব।
এইচএসসি ২০২৩ বাংলা ২য় পত্র রাজশাহী বোর্ড (নির্মিতি অংশ)
খ-বিভাগ (নির্মিতি অংশ)
মান:৩০
৭. ক) যেকোনো দশটি শব্দের বাংলা পারিভাষিক রূপ লেখো: ১০
প্রদত্ত শব্দ =>পারিভাষিক শব্দ
Public-works =>গণপূর্ত
Transport =>পরিবহণ
First-aid =>প্রাথমিক চিকিৎসা
Manuscript =>পাণ্ডুলিপি
Boycott =>বর্জন
Art =>কলা, চারুশিল্প
Acid =>অম্ল
Quack =>হাতুড়ে বিদ্যা
Para =>অনুচ্ছেদ
Renew =>নবায়ন
Signal =>সংকেত
Urban =>পৌর
Vaccine =>টিকা
Zone =>অঞ্চল
E-mail =>বৈদ্যুতিন চিঠি
অথবা, খ) বাংলায় অনুবাদ করো:
Books are man’s best companion in life. You must have very good friends but you cann’t get them when you need them. But books are always ready to by your side. Some books may make you laugh; some other may give you much pleasure. So, we cannot be complete without books.
বঙ্গানুবাদ:
বই হলো মানুষের জীবনের উত্তম সঙ্গী। তোমার অবশ্যই অনেক ভালো বন্ধু থাকতে পারে কিন্তু তোমার প্রয়োজনের সময় তুমি তাদের নাও পেতে পারো। তারা তোমার সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা নাও বলতে পারে। তাদের মধ্যে দু-একজন মন্দও হতে পারে এবং তোমার অনেক ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু বই সর্বদা তোমার পাশে থাকার জন্য প্রস্তুত। কিছু বই তোমাকে হাসাতে পারে, আবার কিছু বই তোমাকে বেশ আনন্দও দিতে পারে। তাই বই ছাড়া আমরা পূর্ণতা লাভ করতে পারি না।
৮. ক) পদ্মাসেতু দর্শনের অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি রচনা করো। ১০
অথবা, খ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশযোগ্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
৯. ক) বন্ধুর পিতৃবিয়োগে তাকে সান্ত্বনা জানিয়ে একটি বৈদ্যুতিন চিঠি লেখো। ১০
অথবা, খ) শিক্ষাভ্রমণে যাওয়ার অনুমতি ও এক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রার্থনা করে তোমার কলেজ-অধ্যক্ষ বরাবর একটি আবেদনপত্র রচনা করো।
১০. ক) সারাংশ লেখো: ১০
সত্যিকার মানবকল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনারই ফসল। বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভারা সবাই মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। দুঃখের বিষয়, সে উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনি। বিদ্যাপতি-চণ্ডীদাস থেকে লালন প্রমুখ কবি এবং অপেক্ষাকৃত আধুনিককালে রবীন্দ্রনাথ-নজরুল সবাই তো মানবিক চেতনার উদাত্ত কন্ঠস্বর। বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় উক্তি: “তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?” এক গভীর মূল্যবোধেরই উৎসারণ।
অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো:
প্রকৃতির ওপর আধিপত্য নয়, চাই প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ।
১১. ক) ‘জ্ঞানচর্চায় বিজ্ঞান’ বিষয়ের ওপর দুই বন্ধুর মধ্যকার সংলাপ রচনা করো। ১০
অথবা, খ) “মানুষ মানুষের জন্য”- এ শিরোনামে একটি খুদে গল্প রচনা করো।
১২. যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ লেখো: ২০
ক. জাতীয় উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তি
খ. জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন
গ. বাংলাদেশের পোশাক শিল্প
ঘ. স্বপ্নের পদ্মাসেতু
ঙ. বাংলাদেশের উৎসব
(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)
এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)
এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২৪)