এইচএসসি ২০২৪ বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান (রাজশাহী বোর্ড)

HSC 2024 Rajshahi Board bangla 2nd paper question & solution

এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড ২০২৪ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্নসহ উত্তর মালা (ব্যাকরণ অংশ)

১. ক) ‘অ’-ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ। ০৫

অ-ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম:
১. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-এর মতো হয় হয়।
যেমন: গদ্য (গোদ্ দো), কল্যাণ (কোল্ লান্)/(কোল্ ল্যান্)
২. আদ্য ‘অ’-এর পর ‘ক্ষ’ থাকলে সে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’-এর মতো হয়।
যেমন: দক্ষ (দোক্ খো), লক্ষণ (লোক্ খোন্)।
৩. মধ্য ‘অ’-এর আগে যদি ‘অ’ থাকে তবে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়ে থাকে। যেমন: যতন (জতোন্), কমল  (কমোল]।
৪. মধ্য ‘অ’-এর আগে ‘আ’ থাকলে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়।
যেমন: কানন (কানোন্), ভাষণ (ভাশোন্)।
৫. শব্দের শেষে যুক্তব্যঞ্জন থাকলে শেষের ‘অ’ সাধারণত ও-রূপে উচ্চারিত হয়।
যেমন: বক্ষ (বোক্ খো), শক্ত শক্‌তো

অথবা, খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ লেখ: ০৫

প্রদত্ত শব্দ =>প্রমিত উচ্চারণ
পদ্ম =>পদ্ দোঁ
আহ্বান =>আও্ভান্/আওভান্ 
হৃদয় =>rhiদয়্/হৃদয়্
জ্ঞান=>গ্যাঁন্
ঐতিহ্য =>ওই্তিজ্ ঝো
গদ্য =>গোদ্ দো
মসৃণ =>মোসৃন্
শ্রাবণ=>স্রাবোন্

ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে ‘অ-তৎসম’ শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

‘অ-তৎসম’ শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম:
ক. অ-তৎসম শব্দের বানানে ‘ণ’ ব্যবহার করা হবে না। যেমন: কান, কোরান, গভর্নর ইত্যাদি।
খ. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘ষ ব্যবহার হয় না। যেমন: কিশমিশ, নাশতা, পোশাক, বেহেস্ত, শখ ইত্যাদি।
গ. হস-চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করা হয়ে থাকে। যেমন: কলকল, কাত, ঝরঝর করলেন, চট, জজ ইত্যাদি।
ঘ. ঊর্ধ্ব-কমা যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন: বলে, হয়ে, চাল, দুজন ইত্যাদি।
ঙ. বাংলায় বিদেশি শব্দের আদিতে বর্ণবিশ্লেষ সম্ভব নয়। এগুলো যুক্তবর্ণ দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: স্টেশন, স্ট্রিট, স্প্রিং।

অথবা, খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখ:

অশুদ্ধ বানান =>শুদ্ধ বানান
আকাংখা=>আকাঙ্ক্ষা
আশাঢ়=>আষাঢ়
উজ্জল=>উজ্জ্বল
শান্তনা=>সান্ত্বনা
কুজ্জটিকা=>কুজ্ঝটিকা
গীতাঞ্জলী=>গীতাঞ্জলি
পিপিলিকা=>পিপীলিকা
পিত্রিদত্ত =>পিতৃদত্ত

৩. ক) বিশেষ্য কাকে বলে? বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।

বিশেষ্য:
যেসব শব্দ দিয়ে ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান, বস্তু, ধারণা ও গুণের নাম বোঝায়, সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। যেমন: নজরুল, বাঘ, ঢাকা, ইট, ভোজন, সততা ইত্যাদি।

বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ:

বিশেষ্য সাধারণত ছয় প্রকার:
১. নাম-বিশেষ্য,
২. জাতি-বিশেষ্য,
৩. বস্তু-বিশেষ্য,
৪. সমষ্টি-বিশেষ্য,
৫. গুণ-বিশেষ্য
এবং ৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য।

১. নাম-বিশেষ্য:
ব্যক্তি, স্থান, দেশ, কাল, সৃষ্টি প্রভৃতির সুনির্দিষ্ট নামকে নাম-বিশেষ্য বলা হয়। যেমন:
ব্যক্তিনাম: হাবিব, সজল, লতা, শম্পা।
স্থাননাম: ঢাকা, বাংলাদেশ, হিমালয়, পদ্মা।
কালনাম: সোমবার, বৈশাখ, জানুয়ারি, রমজান।
সৃষ্টিনাম: গীতাঞ্জলি, সঞ্চিতা, ইত্তেফাক, অপরাজেয় বাংলা।

২. জাতি-বিশেষ্য:
জাতি-বিশেষ্য সাধারণ-বিশেষ্য নামেও পরিচিত। এ ধরনের বিশেষ্য নির্দিষ্ট কোনো নামকে না বুঝিয়ে প্রাণী ও অপ্রাণীর সাধারণ নামকে বোঝায়। যেমন: মানুষ, গরু, ছাগল, ফুল, ফল, নদী, সাগর, পর্বত ইত্যাদি।

৩. বস্তু-বিশেষ্য:
কোনো দ্রব্য বা বস্তুর নামকে বস্তু-বিশেষ্য বলে। যেমন: ইট, লবণ, আকাশ, টেবিল, বই ইত্যাদি।

৪. সমষ্টি-বিশেষ্য:
এ ধরনের বিশেষ্য দিয়ে ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টিকে বোঝায়। যেমন: জনতা, পরিবার, ঝাঁক, বাহিনী, মিছিল ইত্যাদি।

৫. গুণ-বিশেষ্য:
গুণগত অবস্থা ও ধারণার নামকে গুণ-বিশেষ্য বলে। যেমন: সরলতা, দয়া, আনন্দ, গুরুত্ব, দীনতা, ধৈর্য ইত্যাদি।

৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য দিয়ে কোনো ক্রিয়া বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়া-বিশেষ্য বলে। যেমন: পঠন, ভোজন, শয়ন, করা, করানো, পাঠানো, নেওয়া ইত্যাদি।

অথবা, খ) নিম্নরেখ যে কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ কর:

i) ‘অনলে পুড়িয়া গেলো’।
ii) পায়েহাঁটা পথ ধরে সোজা এগিয়ে গেলাম।
iii) সবাই কক্সবাজার যেতে চাইছে।
iv) কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়নি।
v) আকাশটা কালো মেঘে ঢাকা।
vi) আজ খুব ঠান্ডা লাগছে।
vii) সূর্যকিরণ শুষিতেছে জল।
viii) আজ নয় কাল তুমি আসবে।

ব্যাকরণিক শ্রেণি :
i) বিশেষ্য
ii) বিশেষণ
iii) যৌগিক ক্রিয়া
iv) ক্রিয়া বিশেষণ
v) বিশেষণ
vi) বিশেষণের বিশেষণ/ভাব বিশেষণ
vii) ক্রিয়া
viii) যোজক

৪. ক) উপসর্গ কাকে বলে? উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

উপসর্গ:
যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে তাকে উপসর্গ বলে।

উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা :
নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠনে উপসর্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুধু তাই নয়- শব্দার্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ, সংকোচন কিংবা পূর্ণতা সাধনে উপসর্গ ভূমিকা রাখে। উপসর্গগুলোর অর্থবাচকতা না থাকলেও অন্য শব্দের আগে বসে এগুলো অর্থের দ্যোতনা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: ‘দিন’ শব্দের আগে ‘সু’ উপসর্গযোগে ‘সুদিন’ শব্দটি গঠিত হয়, যার অর্থ- ভালো দিন। এখানে অর্থের সংকোচন হয়েছে। কাজ শব্দের আগে ‘অ’ উপসর্গযোগে ‘অকাজ’ শব্দটি গঠিত হয়, যার অর্থ- অনুচিত কাজ। এখানে অর্থের পরিবর্তন হয়েছে। আবার ‘পূর্ণ’ শব্দের আগে ‘পরি’ উপসর্গযোগে ‘পরিপূর্ণ’গঠিত হয়, যার অর্থ- সামগ্রিকভাবে ভরপুর। এখানে শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ হয়েছে। এভাবে সংস্কৃত, বাংলা ও বিদেশি উপসর্গের দ্বারা বাংলা ভাষায় নিত্য নতুন শব্দ গঠিত হচ্ছে। এ সকল দিক বিবেচনায় বলা যায়, উপসর্গের ব্যবহারে বাংলা শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে।

অথবা, খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর (যে কোনো পাঁচটি):
প্রদত্ত শব্দ =>সমাস সাধিত শব্দ
=>দুধে ভাতে=দুধে ও ভাতে=অলুক দ্বন্দ্ব
=>প্রভাত=প্রকৃষ্টরূপে ভাত=প্রাদি
=>হাভাতে=ভাতের অভাব=অব্যয়ীভাব
=>দেবদত্ত=দেব দ্বারা দত্ত=তৃতীয়া তৎপুরুষ
=>আয়কর=আয়ের নিমিত্তে কর=৪র্থী তৎপুরুষ
=>পুরুষসিংহ=পুরুষ সিংহের ন্যায়=উপমিত কর্মধারয়
=>দেশান্তর=অন্য দেশ=নিত্য সমাস
=>চৌচালা=চার চাল যে ঘরের=সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি

৫. ক) একটি সার্থক বাক্যে কী কী গুণ থাকা আবশ্যক। উদাহরণসহ আলোচনা কর।

বাক্য:
যে পদ বা পদ সমষ্টি দ্বারা বক্তার পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে। যেমন: আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি।

বাক্যের গুণ:
অর্থ স্পষ্ট হওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি, সম্পূর্ণ-মনোভাব প্রকাশ এবং অর্থগত ও ভাবগত মেল বন্ধন হলো বাক্যের গুণ।

একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। যথা:

ক. আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অন্তর্গত একটি পদের পর তার পরবর্তী পদ শোনার যে আগ্রহ তাকেই আকাঙ্ক্ষা বলে। একটি সার্থক বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়। কোনো বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকলে তা বাক্য হিসেবে সার্থক হয় না। যেমন: ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বললে শ্রোতার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় না কিন্তু ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ বললে শ্রোতার আর আকাঙ্ক্ষা থাকে না। সুতরাং ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বাক্য নয়, ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ একটি সার্থক বাক্য।

খ. আসত্তি:
বাক্যের সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকেই আসত্তি বলে। বাক্যস্থিত পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ না হলে তাকে বাক্য বলা যায় না। যেমন: ‘সাদা বকের দল আকাশে উড়ছে।’ উল্লিখিত বাক্যে পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ হওয়ায় এটি একটি সার্থক বাক্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই পদসমষ্টিকে যদি সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস না করে বলা হয়, ‘সাদা উড়ছে দল বকের আকাশে’ তাহলে আসত্তি গুণের অভাবে বাক্যটি সার্থক হবে না। তাই একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আসত্তি গুণটি থাকতে হবে।

গ. যোগ্যতা:
বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলোর অর্থ ও ভাবগত মিল বা সামঞ্জস্যকে যোগ্যতা বলে। একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অর্থ ও ভাবগত অন্বয় রক্ষিত না হলে বাক্য তার যোগ্যতা হারায়। যেমন: ‘গরুগুলো আকাশে উড়ছে।’ বাক্যটিতে আকাঙ্ক্ষা এবং আসত্তি গুণ রক্ষিত হলেও এটি সার্থক বাক্য নয়; কেননা, এতে ব্যবহৃত পদগুলোর সঙ্গে ভাবের কোনো সাদৃশ্য নেই। কিন্তু এর পরিবর্তে যদি বলা হয়, ‘পাখিগুলো আকাশে উড়ছে।’ তাহলে এটি যোগ্যতাসম্পন্ন একটি সার্থক বাক্য হয়ে উঠবে।

অথবা, খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুযায়ী বাক্যান্তর কর (যে কোনো পাঁচটি):

প্রদত্ত বাক্য =>বাক্যান্তর
i) চরিত্রহীন লোক পশুর চেয়েও অধম। (জটিল)
=>যে লোক চরিত্রহীন সে পশুর চেয়েও অধম।
ii) যখন তিনি ছিলেন, তখন কোনো জিনিসের অভাব ছিলো না। (সরল)
=>তিনি থাকাকালীন কোনো জিনিসের অভাব ছিলো না।
iii) যখন বিপদ আসে তখন দুঃখও আসে। (যৌগিক)
=>বিপদ ও দুঃখ একসাথে আসে।
iv) পাখিটি খুব সুন্দর। (বিস্ময়সূচক)
=>বাহ্। পাখিটি কী সুন্দর।
v) বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। (প্রশ্নবাচক্)
=>বাংলাদেশ কি একটি নদীমাতৃক দেশ নয়?
vi) মানুষের তৈরি দুর্যোগও কম ক্ষতি করে না। (অস্তিবাচক)
=>মানুষের তৈরি দুর্যোগও বেশ ক্ষতি করে।
vii) ‘পুলিশের লোক জানিবে কী করিয়া’? (নেতিবাচক)
=>পুলিশের লোক জানিবে না।
viii) চুপ করো। (নির্দেশাত্মক)
=>কথা বোলো না।

৬. ক) যে কোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ:

অশুদ্ধ বাক্য =>শুদ্ধ বাক্য
(i) ছেলেটি বিদুষী হলেও বখাটে।
=>ছেলেটি বিদ্বান হলেও বখাটে।
(ii) অধিক সন্ন্যাসীতে তাঁতি নষ্ট।
=>অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
(iii) অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার।
=>অন্নাভাবে প্রতি ঘরে/ঘরে ঘরে হাহাকার।
(iv) সাবধান পূর্বক চলবে।
=>সাবধানে চলবে।
(v) বাংলাদেশ আমাদের পিতৃভূমি।
=>বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি।
(vi) সকল ছাত্রগণ ক্লাসে উপস্তিত ছিলো।
=>সকল ছাত্র ক্লাসে উপস্থিত ছিল।
(vii) সবিতা ভয়ংকর মেধাবী।
=>সবিতা অত্যন্ত মেধাবী।
(viii) দৈন্যতা প্রশংসনীয় নয়।
=>দৈন্য/দীনতা প্রশংসনীয় নয়।

অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করে লেখ:

ইদানীংকালে যুবসমাজের মধ্যে মাদক ব্যাপক আকারে ছড়াইয়া পড়েছে। দিনদিন মাদকাশক্তের সংখ্যা বাড়িয়াই চলছে। এর ফলে যুবসমাজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

শুদ্ধ অনুচ্ছেদ :
ইদানীং যুবসমাজের মধ্যে মাদক ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। দিনদিন মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর ফলে যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

এইচএসসি ২০২৪ বাংলা ২য় পত্র রাজশাহী বোর্ড (নির্মিতি অংশ)

খ-বিভাগ (নির্মিতি অংশ)
মান: ৭০

৭. ক) যে কোনো দশটি শব্দের বাংলা পারিভাষিক রূপ লেখ। ১০

প্রদত্ত শব্দ =>পারিভাষিক রূপ
Realism=>বাস্তববাদ
Nomination=>মনোনয়ন
Idiom=>বাগধারা
Legend=>কিংবদন্তি
Sponsor=>পোষক
Dialect=>উপভাষা
Hostage=>জিম্মি
Gratuity=>আনুতোষিক, উপহার
Equality=>সমতা
Hand-bill=>ইস্তেহার
First-aid=>প্রাথমিক চিকিৎসা
Renew=>নবায়ন
E-mail=>বৈদ্যুতিন চিঠি
Vacation=>অবকাশ
Deputation=>প্রেষণ

অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ কর:
You must have heard the name of Rabindranath Tagore. He is a famous poet of the world. His contribution to Bengali literature is incomparable. He is the poet of life, youth and nature. He is the source of our inspiration.

বঙ্গানুবাদ:
তোমরা নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শুনেছো। তিনি বিশ্বের একজন বিখ্যাত কবি। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অতুলনীয়। তিনি জীবন, যৌবন ও প্রকৃতির কবি। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।

৮. ক) তোমার কলেজে উদ্‌যাপিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানের উপর একটি দিনলিপি রচনা কর। ১০

অথবা, খ) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর। ১০

৯. ক) শিক্ষাসফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে তোমার বন্ধুর নিকট একটি বৈদ্যুতিক চিঠি লেখ।

অথবা, খ) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের বরাবর একটি আবেদন পত্র রচনা কর। ১০

১০. ক) সারমর্ম লেখ:

জলহারা মেঘখানি বরষার শেষে
পড়ে আছে গগনের এক কোণ ঘেঁষে।
বর্ষাপূর্ণ সরোবর তারি দশা দেখে
সারাদিন ঝিকিমিকি হাসে থেকে থেকে।
কহে, ওটা লক্ষ্মীছাড়া, চালচুলাহীন,
নিজেরে নিঃশেষ করি, কোথায় বিলীন।
আমি দেখো চিরকাল থাকি জলভরা
সরোবর, সুগম্ভীর নাই নড়াচড়া।
মেঘ কহে, ওহে বাপু, করো না গরব,
তোমার পূর্ণতা সে যে আমারই গৌরব।

অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা, আশা তার একমাত্র ভেলা।

১১. ক) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যকার কথোপকথন তুলে ধর।

অথবা, খ) ‘মাদকাসক্তির কুফল’ বিষয়ে একটি খুদে গল্প রচনা কর।

১২. নিচের যে কোনো একটি বিষয় অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা কর: ২০

ক) সময়ের মূল্য
খ) বিজয় দিবসের তাৎপর্য
গ) বাংলাদেশের পোশাক শিল্প
ঘ) বিজ্ঞানের সুফল ও কুফল
ঙ) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মাসেতু।

(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)

এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)

এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন  ও সমাধান (২০২০-২৪)

মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২০২৪)

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্ন  (২০০৮-২০২৪)

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top