HSC 2024 Chattogram Board bangla 2nd paper question & solution
এইচএসসি চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৪ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্নসহ উত্তর মালা (ব্যাকরণ অংশ)
ক-বিভাগ (ব্যাকরণ অংশ)
মান:৩০
১. ক) ‘অ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
অ-ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম:
১. শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’-এর মতো হয় হয়। যেমন: গদ্য (গোদ্ দো), কল্যাণ (কোল্ লান্)/(কোল্ ল্যান্)
২. আদ্য ‘অ’-এর পর ‘ক্ষ’ থাকলে সে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’-এর মতো হয়।
যেমন: দক্ষ (দোক্ খো), লক্ষণ (লোক্ খোন্)।
৩. মধ্য ‘অ’-এর আগে যদি ‘অ’ থাকে তবে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়ে থাকে। যেমন: যতন (জতোন্), কমল (কমোল]।
৪. মধ্য ‘অ’-এর আগে ‘আ’ থাকলে সেই মধ্য ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়। যেমন: কানন (কানোন্), ভাষণ (ভাশোন্)।
৫. শব্দের শেষে যুক্তব্যঞ্জন থাকলে শেষের ‘অ’ সাধারণত ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন: বক্ষ (বোক্ খো), শক্ত (শক্তো)
অথবা, খ) নিচের যে কোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখ:
প্রদত্ত শব্দ =>প্রমিত উচ্চারণ
বিবাহ=>বিবাহো
জ্ঞাতি=>গ্যাঁতি
শ্রাবণ=>স্রাবোন্
অসীম=>অশিম্/ওশিম্
পর্যন্ত=>পোর্ জন্ তো
স্বরাজ =>শরাজ্
পথ-বাসী=>পথো-বাশি
ব্যাকরণ=>ব্যাকরোন্
২. ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে ‘অ-তৎসম’ শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ। ০৫
‘অ-তৎসম’ শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম:
ক. অ-তৎসম শব্দের বানানে ‘ণ’ ব্যবহার করা হবে না। যেমন: কান কোরান, গভর্নর ইত্যাদি।
খ. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘ষ ব্যবহার হয় না। যেমন: কিশমিশ, নাশতা, পোশাক, বেহেস্ত, শখ ইত্যাদি।
গ. হস-চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করা হয়ে থাকে। যেমন: কলকল, কাত, ঝরঝর করলেন, চট, জজ ইত্যাদি।
ঘ. ঊর্ধ্ব-কমা যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন: বলে, হয়ে, চাল, দুজন ইত্যাদি।
ঙ. বাংলায় বিদেশি শব্দের আদিতে বর্ণবিশ্লেষ সম্ভব নয়। এগুলো যুক্তবর্ণ দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: স্টেশন, স্ট্রিট, স্প্রিং।
অথবা, খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখ:
অশুদ্ধ বানান =>শুদ্ধ বানান
উপরোক্ত=>উপর্যুক্ত/উপরিউক্ত
আর্শিবাদ=>আশীর্বাদ
সাবলম্বন=>স্বাবলম্বন
কিংবদন্তী=>কিংবদন্তি
শশুরবাড়ী=>শ্বশুরবাড়ি
স্বরস্বতী=>সরস্বতী
দুর্দম=>দুর্দম
প্রবাহমান=>প্রবহমান
৩. ক) আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর। ০৫
আবেগ ও এর শ্রেণিবিভাগ :
আবেগ:
মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলা হয়। যেমন: ছি ছি, আহা, বাহ্, শাবাশ, হায় হায় ইত্যাদি।
নিচে বিভিন্ন ধরনের আবেগ শব্দের প্রয়োগ দেখানো হলো।
১. সিদ্ধান্ত আবেগ:
এ জাতীয় শব্দের সাহায্যে অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন: হ্যাঁ, আমাদের জিততেই হবে। বেশ, তবে যাওয়াই যাক।
২. প্রশংসা আবেগ:
এ ধরনের শব্দ প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন: শাবাশ! এমন খেলাই তো চেয়েছিলাম। বাহ! চমৎকার লিখেছ।
৩. বিরক্তি আবেগ:
এ ধরনের শব্দ অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ছি ছি! এরকম কথা তার মুখে মানায় না। জ্বালা! তোমাকে নিয়ে আর পারি না।
৪. আতঙ্ক আবেগ:
এ ধরনের আবেগ-শব্দ আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন: উহ্, কী বিপদে পড়া গেল। বাপরে বাপ! কী ভয়ঙ্কর ছিল রাক্ষসটা।
৫. বিস্ময় আবেগ:
এ ধরনের শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে। যেমন: আরে। তুমি আবার কখন এলে? আহ্, কী চমৎকার দৃশ্য।
৬. করুণা আবেগ:
এ ধরনের শব্দ করুণা, মায়া, সহানুভূতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন: আহা! বেচারার এত কষ্ট। হায় হায়! ওর এখন কী হবে।
৭. সম্বোধন আবেগ:
এ ধরনের শব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন: হে বন্ধু, তোমাকে অভিনন্দন।
ওগো, তোরা জয়ধ্বনি কর।
৮. অলংকার আবেগ:
এ ধরনের শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্যে অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: দুর! এ কথা কি বলতে আছে? যাকগে, ওসব কথা থাক।
অথবা, খ) নিম্নেরেখ যে কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্ণয় কর:
i) বিপদ কখনো একা আসে না।
ii) বাহ! আমাদের মেয়েরা দারুণ খেলেছে।
iii) বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড়ো আশ্চর্য।
iv) আর আমি লজ্জায় জানালার বাহিরে মুখ বাড়াইয়া প্রকৃতির শোভা দেখিতে লাগিলাম।
v) ও রকম বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক অনেক ভালো।
vi) অতএব আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে।
vii) ফুল কি ফোটে নি শাখে?
viii) কিন্তু উত্তেজনায় উঠে বসলাম।
ব্যাকরণিক শ্রেণি :
i) বিশেষ্য
ii) আবেগ
iii) ক্রিয়া
iv) বিশেষ্য
v) বিশেষ্য
vi) বিশেষ্য
vii) ক্রিয়া
viii) যৌগিক ক্রিয়া
৪. ক) উপসর্গ কাকে বলে? ‘অনু’ ও ‘পনি’ উপসর্গযোগে দুটি করে শব্দ গঠন কর। ০৫
উপসর্গ:
যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে তাকে উপসর্গ বলে। যেমন: অ+কাজ = অকাজ, সু+দিন= সুদিন, দূর+দিন= দুর্দিন ইত্যাদি।
‘অনু’ ও ‘পরি’ উপসর্গযোগে দুটি করে শব্দ গঠন:
উপসর্গ+মূলশব্দ+উপসর্গ সাধিত শব্দ
অনু+গমন=অনুগমন
অনু+রূপ=অনুরূপ
পরি+ত্যাগ=পরিত্যাগ
পরি+পন্থী =পরিপন্থী
অথবা, খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর (যে কোনো পাঁচটি):
=>প্রদত্ত শব্দ=ব্যাসবাক্য=সমাসের নাম
=>জন্মান্তর=অন্যজন্ম=নিত্য সমাস
=>দম্পতি=জায়া ও পতি=দ্বন্দ্ব
=>অপর্যাপ্ত=নয় পর্যাপ্ত=নঞ তৎপুরুষ
=>সপ্তর্ষি=সপ্ত ঋষির সমাহার=দ্বিগু
=>পুষ্পাঞ্জলি=পুষ্পের অঞ্জলি=ষষ্ঠী তৎপুরুষ
=>সবিনয়=বিনয়ের সহিত=বহুব্রীহি
=>ঊনপাঁজুরে=উন পাঁজর যার=প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি
=>ক্ষুরধারা=ক্ষুরের মত ধারালো প্রবাহ যার= সমানাধিকরণ বহুব্রীহি
৫. ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক? উদাহরণসহ লেখ। ০৫
বাক্য:
যে পদ বা পদ সমষ্টি দ্বারা বক্তার পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে। যেমন: আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি।
বাক্যের গুণ:
অর্থ স্পষ্ট হওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি, সম্পূর্ণ-মনোভাব প্রকাশ এবং অর্থগত ও ভাবগত মেল বন্ধন হলো বাক্যের গুণ।
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। যথা-
ক. আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অন্তর্গত একটি পদের পর তার পরবর্তী পদ শোনার যে আগ্রহ তাকেই আকাঙ্ক্ষা বলে। একটি সার্থক বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়। কোনো বাক্যে এই আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকলে তা বাক্য হিসেবে সার্থক হয় না। যেমন: ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বললে শ্রোতার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় না কিন্তু ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ বললে শ্রোতার আর আকাঙ্ক্ষা থাকে না। সুতরাং ‘ঢাকা বাংলাদেশের’ বাক্য নয়, ‘ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী’ একটি সার্থক বাক্য।
খ. আসত্তি:
বাক্যের সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকেই আসত্তি বলে। বাক্যস্থিত পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ না হলে তাকে বাক্য বলা যায় না। যেমন: ‘সাদা বকের দল আকাশে উড়ছে।’ উল্লিখিত বাক্যে পদসমূহের বিন্যাস সুশৃঙ্খল বা যথাযথ হওয়ায় এটি একটি সার্থক বাক্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই পদসমষ্টিকে যদি সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস না করে বলা হয়, ‘সাদা উড়ছে দল বকের আকাশে’ তাহলে আসত্তি গুণের অভাবে বাক্যটি সার্থক হবে না। তাই একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আসত্তি গুণটি থাকতে হবে।
গ. যোগ্যতা:
বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলোর অর্থ ও ভাবগত মিল বা সামঞ্জস্যকে যোগ্যতা বলে। একটি সার্থক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে অর্থ ও ভাবগত অন্বয় রক্ষিত না হলে বাক্য তার যোগ্যতা হারায়। যেমন: ‘গরুগুলো আকাশে উড়ছে।’ বাক্যটিতে আকাঙ্ক্ষা এবং আসত্তি গুণ রক্ষিত হলেও এটি সার্থক বাক্য নয়; কেননা, এতে ব্যবহৃত পদগুলোর সঙ্গে ভাবের কোনো সাদৃশ্য নেই। কিন্তু এর পরিবর্তে যদি বলা হয়, ‘পাখিগুলো আকাশে উড়ছে।’ তাহলে এটি যোগ্যতাসম্পন্ন একটি সার্থক বাক্য হয়ে উঠবে।
অথবা, খ) নির্দেশ অনুসারে যে কোনো পাঁচটি বাক্যের বাক্যান্তর কর:
প্রদত্ত বাক্য =>বাক্যান্তর
i) মেয়ের বয়স যে পনেরো, তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইল। (সরল)
=>মেয়ের বয়স পনেরো শুনিয়া মামার মন ভার হইল।
ii) তোমার সুখ কামনা করছি। (প্রার্থনাসূচক)
=>তুমি সুখী হও।
iii) মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না। (প্রশ্নবাচক)
=>মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে কি?
iv) শৈশবে তার বাবা মারা যায়। (জটিল)
=>যখন সে শিশু ছিল, তখন তার বাবা মারা যায়।
অথবা, যখন তার শৈশবকাল, তখন তার বাবা মারা যায়।
v) আমরা স্টেশনে পৌঁছে খবর পেলাম ট্রেন ছেড়ে চলে গেছে। (যৌগিক)
=>আমরা স্টেশনে পৌঁছালাম এবং খবর পেলাম ট্রেন ছেড়ে চলে গেছে।
vi) আমার নিবাস নাই। (জটিল)
=>যাকে নিবাস বলে তা আমার নেই।
vii) আমি গ্রাহ্য করিলাম না। (অস্তিবাচক)
=>আমি অগ্রাহ্য করিলাম।
viii) শম্ভুনাথ এ কথায় যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকলেন। (নেতিবাচক)
=>শম্ভুনাথ এ কথায় যোগ দেওয়া থেকে অবিরত থাকলেন না।
৬. ক) যে কোনো পাঁচটি বাক্যের অপপ্রয়োগ শুদ্ধ করে লেখ: ০৫
অশুদ্ধ বাক্য =>শুদ্ধ বাক্য
i) ঐক্যতান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা।
=>ঐকতান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা।
ii) নিরোগী লোক আসলেই সুখী।
=>নিরোগ লোক আসলেই সুখী।
iii) সূর্য উদয় হয়েছে।
=>সূর্য উদিত হয়েছে।
iv) আজ ঝড়বৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা আছে।
=>আজ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
v) পরিশ্রম করে তার শারিরীক অবস্থা শোচনীয়
=>পরিশ্রম করে তার শারীরিক অবস্থা শোচনীয়।
vi) অনাবশ্যকীয় ব্যাপারে কৌতূহলী হওয়া অনুচিত।
=>অনাবশ্যক ব্যাপারে কৌতূহলী হওয়া অনুচিত।
vii) এ পরিবারটি আমাদের এলাকায় সমৃদ্ধশালী পরিবার।
=>এ পরিবারটি আমাদের এলাকায় সমৃদ্ধিশালী/সমৃদ্ধ পরিবার।
viii) আকণ্ঠ পর্যন্ত ভোজনে স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
=>কণ্ঠ পর্যন্ত/আকণ্ঠ ভোজনে স্বাস্থ্যহানি ঘটে
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদটির অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করে লেখ:
নিজ ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্য দেখাতে সে সর্বদা সুসচেষ্ট। মাঝে মাঝে সভা চলাকালীন সময়ে সে দাঁড়িয়ে পরে। কেউ তার সমালোচনা করলে অপমানবোধ করে। অনেকেই তাকে নিয়ে হাসি তামাসা করে। সে নিজের দৈন্যতা বুঝতে পারে না।
শুদ্ধ অনুচ্ছেদ:
নিজ ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্য দেখাতে সে সর্বদা সচেষ্ট। মাঝে মাঝে সভা চলাকালীন সে দাঁড়িয়ে পড়ে। কেউ তার সমালোচনা করলে অপমানিতবোধ করে। অনেকেই তাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করে। সে নিজের দৈন্য/দীনতা বুঝতে পারে না।
এইচএসসি ২০২৪ বাংলা ২য় পত্র চট্টগ্রাম বোর্ড (নির্মিতি অংশ)
খ-বিভাগ (নির্মিতি অংশ)
মান: ৭০
৭. ক) যে কোনো দশটি শব্দের বাংলা পারিভাষিক রূপ লেখ: ১০
প্রদত্ত শব্দ =>পারিভাষিক রূপ
Relationship=>সম্পর্ক
Fundamental=>মৌলিক/মূল
Appearance=>দৃষ্টিগোচরতা/উপস্থিতি
Hostage=>জিম্মি
Consequence=>ফলাফল/পরিণাম
Existentialism=>অস্তিত্ববাদ
Superintendent=>অধীক্ষক
Miscreant=>দুষ্কৃতিকারী
Colony=>উপনিবেশ
Bankrupt=>দেউলিয়া, ফতুর
Lease=>ইজারা
Decimal=>দশমিক
Ethics=>নীতিবিদ্যা
Mytli=>পৌরাণিক কাহিনি, অতিকথা
War-crime=>যুদ্ধাপরাধ
অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ কর:
We are social beings and have to consider to our behaviour on others. There are two terms to describe our social behaviour etiquette and manners. Etiquette means the rules of correct behaviour in society. The word manner means the behaviour to be polite in particular society or culture. Everybody should earn two terms in his character.
বঙ্গানুবাদ:
আমরা সামাজিক জীব আর তাই অন্যের ওপর আমাদের আচরণের প্রভাবের দিকটি বিবেচনায় রাখতে হয়। আমাদের সামাজিক আচরণ দুটি দিক দিয়ে প্রকাশ করা যায়- শিষ্টাচার ও আচরণবিধি। শিষ্টাচার বলতে বোঝায় সমাজে উপযুক্ত ব্যবহারের নিয়মকানুন। আর আচরণবিধি হলো বিশেষ সমাজ বা সংস্কৃতিতে মার্জিত ব্যবহারের দিকটি। প্রত্যেকেরই দিক দুটি অর্জন করা উচিত।
৮. ক) তোমার কলেজে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদ্যাপনের উপর একটি দিনলিপি রচনা কর। ১০
অথবা, খ) “যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয়” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
০৯. ক) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর অনুভূতি জানিয়ে তোমার প্রবাসী বন্ধুকে একটি বৈদ্যুতিন চিঠি লেখ।
অথবা, খ) কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভের উদ্দেশ্যে একটি আবেদনপত্র রচনা কর।
১০. ক) সারাংশ লেখ: ১০
মানুষ-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম। হিন্দু-মুসলমানের মিলনের অন্তরায় বা ফাঁকি কোনখানে তা দেখিয়ে দিয়ে এর গলদ দূর করা আমার এ পথের অন্যতম উদ্দেশ্য। মানুষে মানুষে যেখানে প্রাণের মিল, আদত সত্যের মিল সেখানে ধর্মের বৈষম্য, কেনো হিংসার দুশমনির ভাব আনে না। যার নিজের ধর্মে বিশ্বাস আছে, যে নিজের ধর্মের সত্যকে চিনেছে, সে কখনো অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না।
অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর।
প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তারই।
১১. ক) কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর। ১০
অথবা, খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে একটি খুদে গল্প লেখ:
মঞ্চের দিকে পুরস্কার নিতে ধীর পায়ে এগিয়ে চলল সোহেলী। চারদিকে তুমুল করতালি। কিন্তু তার চোখে অশ্রু। সে………..
১২. যে কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ লেখ:
ক) বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প: সমস্যা ও সম্ভাবনা
খ) সাম্প্রতিক যুদ্ধ এবং এর প্রভাব
গ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ
ঘ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
৫) স্মার্ট বাংলাদেশ।
(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)
এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)
এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২৪)
শৈশবে তার বাবা মারা যায়। ( জটিল)
= যখন সে শৈশ্য ছিল, তখন তার বাবা মারা যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
চিরকৃতজ্ঞ!