Cadet College admission 2015 Bangla question
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ২০১৫ বাংলা প্রশ্ন
পূর্ণমান: ৪০
১. সঠিক উত্তরে টিক (✔) চিহ্ন দাও ১×১০=১০
(ক) বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ কয়টি?
(i) ২টি
(ii) ৫টি
(iii) ৭টি
(iv) ৯টি
(খ) নিচের কোনটিতে স্বভাবতই ‘ণ’ এর ব্যবহার হয়েছে?
(i) ভাষণ
(ii) কৃপণ
(iii) মরণ
(iv) লবণ
(গ) কোন নরবাচক শব্দটির দুটি নারীবাচক শব্দ রয়েছে?
(i) শিক্ষক
(ii) কৃতদার
(iii) সন্তান
(iv) মানব
(ঘ) জিভের অবস্থা অনুযায়ী মধ্য-স্বরধ্বনি কোনটি?
(1) ই
(ii) এ
(iii) আ
(iv) অ
ঙ) নিচের কোনটিতে সংখ্যাবাচক শব্দের পূরণবাচক রূপ ব্যবহৃত হয়েছে?
(i) ৭
(ii) সাত
(iii) সপ্তম
(iv) সাতই
(চ) ‘সভা’ কবিতার ‘শরম’ শব্দটির অর্থ কী?
(1) বিনাশ
(ii) লজ্জা
(iii) সমবেত
(iv) চতুর
(ছ) ‘তোলপাড়’ গল্পে ‘খাবি খাওয়া’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহার হয়েছে?
(i) খাবারের জন্য উদ্যোগী হওয়া
(ii) ডাল-ভাতে দিনাতিপাত করা
(iii) নির্যাতনের শিকার হওয়া
(iv) বিপদে পড়ে নিতান্ত নিরুপায় বোধ করা
(জ) ‘মানুষ মানুষের জন্য’-এ কথাটির সাথে ‘সুখ’ কবিতার কোন চরণের ভাবার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ?
(1) আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
(ii) এ ধরা কি শুধু বিষাদময়?
(iii) সমর-অঙ্গন সংসার এই
(iv) প্রত্যেকে মোরা পরের তরে
(ঝ) অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ নাম মাদার তেরেসা হয়-
(i) পারিবারিক পদবী অনুসারে
(ii) বিবাহ না করার জন্য
(iii) সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের সময়
(iv) মানবসেবার জন্য
(ঞ) ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটিতে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কবিসত্তার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে?
(i) প্রকৃতিপ্রেমী
(ii) বিদ্রোহী
(iii) রোমান্টিক
(iv) শিশুতোষ
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও: ১×১০=১০
(ক) ‘ইত্যাদি’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কর।
(খ) সংখ্যা গণনার মূল একক কী?
(গ) ‘এবং’ শব্দটি কোন পদ?
(ঘ) ডাক্তার ডাক-এ বাক্যে ‘ডাক্তার’ কোন কারকে শূন্য বিভক্তি?
(ঙ) ক্রিয়া সংঘটনের সময়কে কী বলে?
(চ) ‘মুজিব’ কবিতায় কার মধুর হাসিতে ভরে বাঙালির ঘর?
(৩) ‘লাল গরুটা’ গল্পে নিধিরাম কত টাকায় লাল গরুটাকে বিক্রি করেছিল?
(ঝ) ‘ফাগুন মাস’ কবিতা অনুসারে ফাগুন মাসে কার চোখে জল?
( জ) ‘মিনু’ গল্পে রাক্ষসী কীসের নাম?
(ঞ) ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় নীল আকাশে কে মেলছে পাখা?
৩. শূন্যস্থান পূরণ কর: ১×১০=১০
(ক) বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে —-পদ বলে।
(খ) ‘খান’ শব্দটির নারীবাচক রূপ হলো—।
(গ) ‘উপচয়’ শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ হলো—।
(ঘ) ‘যা উদিত হচ্ছে’—এর এককথায় প্রকাশ হলো।
(ঙ) বাক্যে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে বাক্যের শেষে — চিহ্ন বসে।
(চ) ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ নাটকটির রচয়িতা হলো—।
(ছ) ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে বর্ণিত সেকালের পুরুষেরা ছিল —।
(জ) — প্রবন্ধ পাঠের উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞানচেতনা সৃষ্টি।
(ঝ) ‘রাঁচি ভ্রমণ’ প্রবন্ধে বর্ণিত ‘রাঁচি’ শহরটা অপেক্ষাকৃত — ভূমিতে অবস্থিত।
(ঞ) ‘জন্মভূমি’ কবিতার চরণ: কোন গগনে ওঠে রে —এমন হাসি হেসে।
৪. নিম্নলিখিত চিত্রটি তোমার যে পাঠ্যের তার নামসহ পাঠ-পরিচিতি সম্পর্কে ৮টি বাক্য লেখ। ৫

৫. প্রতি বছর আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয় যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ যথাযথ সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এ দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক কমানো সম্ভব। এ প্রেক্ষিতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ৫টি সুপারিশ লেখ।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ২০১৫ বাংলা প্রশ্নের উত্তর মালা
১.
(ক) (i) ২টি।
(খ) (iv) লবণ।
(গ) (1) শিক্ষক।
(ঘ) (iii) আ।
(ঙ) (iii) সপ্তম।
(চ) (ii) লজ্জা।
(ছ) (iv) বিপদে পড়ে নিতান্ত নিরুপায় বোধ করা।
(জ) (iv) প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।
(ঝ) (i) পারিবারিক পদবী অনুসারে।
(ঞ) i) প্রকৃতিপ্রেমী।
২. (ক) ইতি + আদি।
(খ) এক।
(গ) যোজক।
(ঘ) কর্মে।
(ঙ) ক্রিয়ার কাল।
(চ) শিশুর।
(ছ) সিলেবাস বহির্ভূত।
(জ) উনুন।
(ঝ) মায়ের চোখে।
(ঞ) সোনালি চিল।
৩.
(ক) সর্বনাম।
(খ) খানম।
(গ) অপচয়।
(ঘ) উদীয়মান।
(ঙ) জিজ্ঞাসাবোধক।
(চ) সৈয়দ শামসুল হক।
(ছ) শিকারপ্রিয়।
(জ) আকাশ।
(ঝ) সমতল।
(ঞ) চাঁদ।
8. তোলপাড়
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই যুদ্ধে পাকিস্তানিদের অত্যাচারের দৃশ্য দেখে একজন কিশোর কীভাবে তাদের প্রতিরোধ করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হয়- শওকত ওসমানের ‘তোলপাড়’ গল্পে তাই ব্যক্ত হয়েছে। এই গল্পের মূল চরিত্র কিশোর সাবু গাঁয়ের সড়কে শহর থেকে পালানো হাজার হাজার মানুষ দেখে স্তম্ভিত হয়। অত্যাচারিত ও ক্লান্ত মানুষদের মুড়ি বা পানি পান করিয়ে সে সান্ত্বনা খোঁজে। সাবু দেখতে পায়, নারী, শিশু, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাই শহর থেকে পালাচ্ছে। হানাদার বাহিনীর এই নিষ্ঠুরতা অনুভব করে সাবু ক্ষুব্ধ হয়। পাকিস্তানিদের প্রতি তার ঘৃণা বাড়তে থাকে। তাদের অত্যাচারের মোকাবেলা করার জন্য তার কিশোর মন চঞ্চল হয়ে ওঠে।
৫. জীবনের প্রয়োজনে মানুষকে পথ চলতে হয় কিন্তু পথের নিরাপত্তা বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। সড়ক দুর্ঘটনা আজ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য মানুষের, পঙ্গুত্ব বরণ করছে অগণিত মানুষ। বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার হার কমানোর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে:
১. ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সর্বাগ্রে ট্রাফিক আইন আধুনিকীকরণ করতে হবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. আমাদের সড়কগুলোকে সংস্কার, প্রশস্ত করার সাথে ডিভাইডারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পায়। মহাসড়কে চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব পরিহার করতে হবে।
৪. ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
৫. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।
সময় অত্যন্ত মূল্যবান, কিন্তু সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য আরও অনেক বেশি। সময় বাঁচাতে গিয়ে কখনই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। মৃত্যুকে অস্বীকার করা যায় না, কিন্তু অকালমৃত্যু নয়। চাই নিরাপদ সড়ক, চাই স্বাভাবিক মৃত্যু।
(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্ন (২০০৮-২০২৪)
এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২০২৪)