এইচএসসি ২০২৩ বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান (যশোর বোর্ড)

HSC 2023 Jessore Board bangla 2nd paper question & solution

এইচএসসি যশোর বোর্ড ২০২৩ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্নসহ উত্তর মালা (ব্যাকরণ অংশ)

ক-বিভাগ (ব্যাকরণ অংশ)
মান: ৩০

১. ক) ব-ফলা উচ্চারণের যেকোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো। ৫

ব-ফলার উচ্চারণ
ক. শব্দের প্রথমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে, ব-ফলা উচ্চারিত হয় না। যেমন: ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিত্ তো), শ্বাস (শাশ্), সজন (শজোন্), দ্বন্দ্ব (দন্ দো)।

খ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: বিশ্বাস (বিশ্ শাশ্), পক্ (পক্ কো), অশ্ব (অশ্ শো), বিশ্ব (বিশ্ শো)।

গ. সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন: দিগ্বিজয় (দিগ্ বিজয়্), দিগ্বলয় (দিগ্ বলয়্)।

ঘ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন: তিব্বত (তিব্ বত্), লম্ব (লম্ বো)।

ঙ. উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন উদ্বাস্তু (উদ্‌বাস্ তু), উদ্বেল (উদ্ বেল্)।

অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখো:
প্রদত্ত শব্দ = উচ্চারণ
পর্যন্ত = পোর্ জোন্ তো
বিজ্ঞাপন = বিগ্ গ্যাঁপোন্
অধ্যক্ষ = ওদ্ ধোক্ খো
ব্যতিক্রম = বেতিক্ ক্রোম্
গণতন্ত্র = গনোতন্ ত্রো
দুঃখ = দুক্ খো
অসহ্য  = অশোজ্ ঝো
গ্রহণ= গ্রোহোন্

২. ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো। ৫

প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম:
১. সকল অতৎসম শব্দের বানানে ই-কার হবে। যেমন: কাহিনি, সরকারি ইত্যাদি।
২. সকল অতৎসম শব্দের বানানে উ-কার হবে। যেমন: চুন, পুজো, পুব ইত্যাদি।
৩. অতৎসম শব্দে ‘ক্ষ’ এর স্থলে ‘খ’ হবে। যেমন: খিদে, খুর ইত্যাদি।
৪. ভাষা ও জাতিবাচক শব্দে ই-কার হবে। যেমন: জাপানি, আরবি ইত্যাদি।
৫. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: কর্ম, মর্ম ইত্যাদি।

অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ বানান করে লেখো:
অশুদ্ধ বানান = শুদ্ধ বানান
বাংগালী = বাঙালি
দূরাবস্থা = দুরবস্থা
মহত্ব = মহত্ত্ব
বাঞ্ছনীয় = বাঞ্ছনীয়
ইতিপূর্বে = ইতঃপূর্বে/ইতোপূর্বে
*শান্তনা = সান্ত্বনা
কথোপোকোথন = কথোপকথন
*মুমূর্ষ = মুমূর্ষু

৩. ক) উদাহরণসহ ক্রিয়া পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো। ৫

ক্রিয়াপদ :
বাক্যের অন্তর্গত যে পদ দ্বারা কোন কিছু করা, হওয়া কিংবা থাকা বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন : আমি পড়াশোনা করি। সে বড়দের সম্মান করে।

ভাবপ্রকাশের দিক দিয়ে, বাক্যে কর্মের উপস্থিতির ভিত্তিতে এবং গঠন বিবেচনায় ক্রিয়াকে নানা ভাগে ভাগ করা যায়।

ক. ভাবপ্রকাশের দিক দিয়ে ক্রিয়া দুই প্রকার:

১. সমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া দিয়ে ভাব সম্পূর্ণ হয়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন ভালো করে পড়াশোনা করবে।

২. অসমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া ভাব সম্পূর্ণ করতে পারে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: ভালো করে পড়াশোনা করলে ভালো ফল হবে।

অসমাপিকা ক্রিয়া তিন ধরনের:
১. ভূত অসমাপিকা,
২. ভাবী অসমাপিকা
এবং ৩. শর্ত অসমাপিকা।

যথা:
ভূত অসমাপিকা:
সে গান করে আনন্দ পায়।
ভাবী অসমাপিকা:
সে গান শিখতে রাজশাহী যায়।
শর্ত অসমাপিকা:
গান করলে তার মন ভালো হয়।

খ. বাক্যের মধ্যে কর্মের উপস্থিতির ভিত্তিতে ক্রিয়া তিন প্রকার:

১. অকর্মক ক্রিয়া:
বাক্যে ক্রিয়ার কোনো কর্ম না থাকলে সেই ক্রিয়াকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন সে ঘুমায়। এই বাক্যে কোনো কর্ম নেই।

২. সকর্মক ক্রিয়া:
বাক্যের মধ্যে ক্রিয়ার কর্ম থাকলে সেই ক্রিয়াকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: সে বই পড়ছে। এই বাক্যে ‘পড়ছে’ হলো সকর্মক ক্রিয়া। ‘বই’ হলো ‘পড়ছে’ ক্রিয়ার কর্ম।

৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া:
বাক্যের মধ্যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকলে সেই ক্রিয়াকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: শিক্ষক ছাত্রকে বই দিলেন। এই বাক্যে ‘দিলেন’ একটি দ্বিকর্মক ক্রিয়া। ‘কী দিলেন’ প্রশ্নের উত্তর দেয় মুখ্য কর্ম (‘বই’), আর ‘কাকে দিলেন’ প্রশ্নের উত্তর দেয় গৌণ কর্ম (‘ছাত্রকে’)।

গ. গঠন বিবেচনায় ক্রিয়া পাঁচ রকম:

১. সরল ক্রিয়া:
একটিমাত্র পদ দিয়ে যে ক্রিয়া গঠিত হয় এবং কর্তা এককভাবে ক্রিয়াটি সম্পন্ন করে, তাকে সরল ক্রিয়া বলে। যেমন: সে লিখছে। ছেলেরা মাঠে খেলছে। এখানে লিখছে ও খেলছে এগুলো সরল ক্রিয়া।

২. প্রযোজক ক্রিয়া:
কর্তা অন্যকে দিয়ে কাজ করালে তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন: তিনি আমাকে অঙ্ক করাচ্ছেন; রাখাল গরুকে ঘাস খাওয়ায় এখানে ‘করাচ্ছেন’ ও ‘খাওয়ায়’ প্রযোজক ক্রিয়া।

অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করে লেখো:
বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে অসীম ফিরে এল। সে খুবই সুবুদ্ধিমান। তার আপাদমস্তক পর্যন্ত ভেজা। পোশাক পাল্টানো আবশ্যকীয়। কিন্তু প্রথমেই সে আকণ্ঠভোজন করিল। তা দেখে অসীমের মা বিস্মিত হলেন। তবে, অসীম নিঃসন্দিহান যে, তার অসুখ হবে না।

৩. নামক্রিয়া:
বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক শব্দের শেষে-আ বা-আনো প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে নামক্রিয়া বলে। যেমন: বিশেষ্য চমক শব্দের সঙ্গে-আনো যুক্ত হয়ে হয়। চমকানো: আকাশে বিদ্যুৎ চমকায়; বিশেষণ কম শব্দের সঙ্গে-আ যুক্ত হয়ে হয় কমা: বাজারে সবজির দাম কমছে না; ধ্বন্যাত্মক ছটফট শব্দের সঙ্গে-আনো যুক্ত হয়ে হয় ছটফটানো: জবাই করা মুরগি উঠানে ছটফটায়।

৪. সংযোগ ক্রিয়া:
বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক শব্দের পরে করা, কাটা, হওয়া, দেওয়া, ধরা, পাওয়া, খাওয়া, মারা প্রভৃতি ক্রিয়া যুক্ত হয়ে সংযোগ ক্রিয়া গঠিত হয়। যেমন:
করা ক্রিয়া যোগে: গান করা, 
কাটা ক্রিয়া যোগে: সাঁতার কাটা, 
হওয়া ক্রিয়া যোগে: উদয় হওয়া, 
দেওয়া ক্রিয়া যোগে: কথা দেওয়া,
ধরা ক্রিয়া যোগে: ভাঙন ধরা।

৫. যৌগিক ক্রিয়া:
অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়া যুক্ত হয়ে যখন একটি ক্রিয়া গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন: মরে যাওয়া, কমে আসা, এগিয়ে চলা ইত্যাদি।

অথবা, খ) নিম্নোক্ত যেকোনো পাঁচটি বাক্যের নিম্নরেখ শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ করো:

i. পায়ে হাঁটা পথ ধরে সোজা এগিয়ে চললাম।
ii. দারুণ সুন্দর দেখতে।
iii. সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু
iv. বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড়ো আশ্চর্য।
v. সবাই রাঙামাটি যেতে চাইছে।
vi. বিপদ কখনো একা আসে না।
vii. বেশ, তাই হবে।
viii. কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

ব্যাকরণিক শ্রেণি :
i. বিশেষণ
ii. বিশেষণের বিশেষণ
iii. অনুসর্গ
iv. ক্রিয়া
v. সর্বনাম
vi. বিশেষ্য
vii. আবেগ শব্দ
viii. ক্রিয়া বিশেষণ।

8. ক) “উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে?”- ব্যাখ্যা করো। ৫

উপসর্গের সংজ্ঞা:
যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে তাকে উপসর্গ বলে।

উপসর্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, ‘এর কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।’ প্রত্যেকটি উপসর্গ মূলত এক ধরনের শব্দাংশ। এরা কোথাও পৃথকভাবে ব্যবহৃত হয় না, কিংবা এদের নিজস্ব কোনো অর্থও নেই। ধাতু বা শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে এরা মূল শব্দ বা ধাতুর অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংকোচন, সম্প্রসারণ বা তার পূর্ণতা সাধন করে। যেমন: ‘কার’ একটি শব্দ। এর সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ যুক্ত হয়ে নানা নতুন শব্দ গঠিত হতে পারে-

উপসর্গ=মূল শব্দ=উপসর্গযোগে গঠিত সাধিত শব্দ
প্র+কার=>প্রকা
উপ+কার=উপকার
অধি+কার=অধিকার
অপ+কার=অপকার
বি+কার=বিকার

উপরের সাধিত শব্দগুলো থেকে প্র, উপ, অধি, অপ, বি উপসর্গগুলো পৃথক করলে তাদের আলাদা কোনো অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওই শব্দগুলোকে নানা অর্থবৈচিত্র্য দান করেছে। এভাবেই নিজস্ব অর্থহীন উপসর্গ অন্য কোনো শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করতে পারে বলেই বলা হয়- উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই; কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।

অথবা, খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো: (যেকোনো পাঁচটি)
প্রদত্ত শব্দ = ব‍্যাসবাক্য = সমাসের নাম
একচোখা = একদিকে চোখ যার = বহুব্রীহি সমাস
ছিন্নবস্ত্র = ছিন্ন যে বস্ত্র = কর্মধরায় সমাস
ফুলকুমারী = ফুলেবাক্যেরর ন্যায় কুমারী = উপমিত কর্মধারয় সমাস
জলচর = জলে চরে যে = উপপদ তৎপুরুষ
*উদ্বেল = বেলাকে অতিক্রান্ত *অব্যয়ীভাব সমাস
*তেপান্তর = তিন প্রান্তের সমাহার = দ্বিগু সমাস
অভূতপূর্ব = পূর্বে অভূত = সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস
একাদশ = একের অধিক দশ = মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

৫. ক) অর্থ অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো। ৫

অর্থগতভাবে বাংলা বাক্যসমূহকে সাধারণত সাত ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা:

১. বর্ণনামূলক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা সাধারণভাবে কোনো কিছু বর্ণনা বা বিবৃত করা হয় তাকে বর্ণনামূলক বাক্য বলে। যেমন: গরু মাঠে ঘাস খায়। গাছে গাছে ফুল ফুটেছে। একে নির্দেশাত্মক বা বিবৃতিমূলক বাক্যও বলা হয়ে থাকে।

বর্ণনামূলক বাক্য দুরকম হয়ে থাকে। যথা-

ক. অস্তিবাচক:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের অস্তিত্ব বা হ্যাঁ-সূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে অস্তিবাচক বাক্য বলে। যেমন: দিবা চুপ করে রইল।

খ. নেতিবাচক:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের না-সূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে নেতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: দিবা কোনো কথা বলল না।

২. প্রশ্নসূচক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা সরাসরি কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয় তাকে প্রশ্নসূচক বাক্য বলে। যেমন: তোমার নাম কী ? তুমি কোন ক্লাসে পড়? একে প্রশ্নাত্মক বা প্রশ্নবোধক বাক্যও বলা হয়।

৩. ইচ্ছাসূচক বাক্য:
যে বাক্যে মনের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা বা প্রার্থনা প্রকাশ পায় তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন: যদি দশ কোটি টাকা পেতাম। জীবনে সফল হও। একে প্রার্থনাসূচক বাক্যও বলা হয়।

৪. আজ্ঞাসূচক বাক্য:
যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, আবেদন, অনুরোধ ইত্যাদি বোঝায় তাকে আজ্ঞাসূচক বাক্য বলে। যেমন: ওখানে গিয়ে বসো। সদা সত্য কথা বলবে। দয়া করে কলমটি দাও।

৫. আবেগসূচক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা মনের আকস্মিক আবেগ বা উচ্ছ্বাস প্রকাশ পায় তাকে আবেগসূচক বাক্য বলে। যেমন: আহ। কী আরামা এও কি সম্ভব।

৬. সংশয়সূচক বাক্য:
নির্দেশাত্মক বাক্যের বক্তব্যের বিষয় সম্পর্কে সন্দেহ, সংশয়, সম্ভাবনা, অনুমান, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পেলে তাকে সংশয়সূচক বাক্য বলে। একে সন্দেহদ্যোতক বাক্যও বলা হয়। এ ধরনের বাক্যে হয়তো, বুঝি, বুঝিবা, সম্ভবত, বোধ হয়, থাকি, নিশ্চয় প্রভৃতি সন্দেহসূচক শব্দ ব্যবহূত হয়। যেমন: বোধ হয় আয় আর আসবেনা। সম্ভবত দিবার ব্যস্ততা বেড়েছে।

৭. কার্যকারণাত্মক বাক্য:
যে বাক্যে কোনো বিশেষ শর্তের অধীনে ক্রিয়া নিষ্পত্তি হয় তাকে কার্যকারণাত্মক বাক্য বলে। একে শর্তসূচক বাক্যও বলা হয়। যেমন: কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না। নিয়মিত পড়ালেখা না করলে ভালো ফল হয় না।

অথবা, খ) বাক্য রূপান্তর করো: (যেকোনো পাঁচটি)

প্রদত্ত বাক্য =>বাক্যান্তর
i. দুর্জনকে দূরে রাখা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)
=>দুর্জনকে দূরে রাখো।
ii. এখানে আসতেই হলো। (নেতিবাচক)
=>এখানে না এসে পারা গেল না।
iii. সাহিত্য জীবনের স্বাভাবিক প্রকাশ। (প্রশ্নবাচক)
=>সাহিত্য কি জীবনের স্বাভাবিক প্রকাশ নয়?
iv. সূর্যোদয়ে অমানিশা কেটে যাবে। (জটিল)
যখন সূর্যোদয় হবে, তখন অমানিশা কেটে যাবে।
v. রচনায় সহজবোধ্য শব্দ ব্যবহার করা উচিত। (অনুজ্ঞা)
=>রচনায় সহজবোধ্য শব্দ ব্যবহার করো।
vi. শীতের পিঠা খেতে খুব মজা। (বিস্ময়সূচক)
=>শীতের পিঠা খেতে কী মজা!
vii. যা তার প্রাপ্তি তাই তার দান। (সরল)
=>দানেই তার প্রাপ্তি।
viii.বাংলাদেশ চিরস্থায়ী হোক। (নির্দেশাত্মক)
=>বাংলাদেশের চিরস্থায়িত্ব কামনা করি

৬. ক) যেকোনো পাঁচটি বাক্যের অপপ্রয়োগ শুদ্ধ করে লেখো: ৫
প্রদত্ত বাক্য => শুদ্ধ বাক্য
i. আমি সাক্ষী দিব না।
=>আমি সাক্ষ্য দিব না।
ii. এক পৌষে শীত যায় না।
=>এক মাঘে শীত যায় না।
iii. সব পাখিরা ঘরে আসে না।
=>সব পাখি ঘরে আসে না।
iv. আমি সন্তোষ হলাম।
=>আমি সন্তুষ্ট হলাম।
v. দৈন্যতা সবসময় ভালো নয়।
=>দৈন্য/দীনতা সবসময় ভালো নয়।
vi. অপমান হবার ভয় নেই।
=>অপমানিত হবার ভয় নেই।
vii. তিনি স্বস্ত্রীক নিউমার্কেটে গিয়েছেন।
=>তিনি সস্ত্রীক নিউমার্কেটে গিয়েছেন।
viii. তাহাকে এখান থেকে যাইতে হবে।
=>তাকে এখান থেকে যেতে হবে।

অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করে লেখো:
বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে অসীম ফিরে এল। সে খুবই সুবুদ্ধিমান। তার আপাদমস্তক পর্যন্ত ভেজা। পোশাক পাল্টানো আবশ্যকীয়। কিন্তু প্রথমেই সে আকণ্ঠভোজন করিল। তা দেখে অসীমের মা বিস্মিত হলেন। তবে, অসীম নিঃসন্দিহান যে, তার অসুখ হবে না।

শুদ্ধ অনুচ্ছেদ :
বৃষ্টি চলাকালীন অসীম ফিরে এল। সে খুবই বুদ্ধিমান। তার আপাদমস্তক ভেজা। পোশাক পাল্টানো আবশ্যক। কিন্তু প্রথমেই সে আকণ্ঠ ভোজন করল। তা দেখে অসীমের মা বিস্মিত হলেন। তবে অসীম নিঃসন্দিগ্ধ যে, তার অসুখ হবে না।

এইচএসসি ২০২৪ বাংলা ২য় পত্র যশোর বোর্ড (নির্মিতি অংশ)

খ-বিভাগ (নির্মিতি অংশ)
মান: ৩০

৭. ক) যেকোনো দশটি শব্দের বাংলা পারিভাষিক রূপ লেখো: ১০
প্রদত্ত শব্দ =>পারিভাষিক শব্দ
Acting =>ভারপ্রাপ্ত
Cabinet =>মন্ত্রিপরিষদ
Copyright =>লেখ-স্বত্ব
Documentary =>প্রামাণ্য চিত্র, তথ্যচিত্র
Forecast =>পূর্বাভাস
Hostage =>জিম্মি
Instalment =>কিস্তি
Judgement =>রায়
Manifesto =>ইশতেহার
Note =>মন্তব্য
*Publicworks =>গণপূর্ত
Vacation =>অবকাশ

অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ করো:
Our total environment influences our life and our way of our living. The main elements of human environment are men, animals, plants, soil, air and water. There are relationships between these elements. When there relationships are disturbed, life becomes difficult or impossible.

বঙ্গানুবাদ:
আমাদের সমগ্র পরিবেশ আমাদের জীবন এবং জীবনধারণের পদ্ধতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের পরিবেশের প্রধান উপাদানগুলো হলো মানুষ, প্রাণী, গাছপালা, মাটি, বাতাস ও পানি। এ সকল উপাদানের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। যখন এদের মধ্যকার সম্পর্ক বিঘ্নিত হয় তখন জীবন কষ্টসাধ্য ও অসম্ভব হয়ে পড়ে। পরিবেশকে রক্ষার মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবন নিশ্চিত করতে পারে।

৮. ক) বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি রচনা করো। ১০

অথবা, খ) “শীতার্ত মানুষের দুঃসহ জীবন” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

৯. ক) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার উৎসাহ দিয়ে ছোটো ভাইকে একটি ই-মেইল লেখো। ১০

অথবা, খ) শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি ও আর্থিক সাহায্য চেয়ে তোমার কলেজের অধ্যক্ষের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো।

১০. ক) সারাংশ লেখো: ১০
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য-অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।

অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো:

প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।

১১. ক) একুশের চেতনা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা করো। ১০

অথবা, খ) নিচের উদ্দীপকটি অনুসরণে একটি খুদে গল্প লেখো:

সবুজ শ্যামল এই প্রকৃতিকে উজাড় হতে দেখে বেদনায় তৃণার মনটা কেঁদে ওঠে…

১২. প্রবন্ধ রচনা করো (যেকোনো একটি): ২০
ক. জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
খ. কৃষিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও কৃষক
গ. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তার প্রতিকার
ঘ. আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও বাংলাদেশ
ঙ. বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প

(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)

এইচএসসি ব্যাকরণ অংশের টোপিক ভিত্তিক বোর্ড প্রশ্ন সমাধান একসাথে (২০১৬-২০২৪)

এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)

এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন  ও সমাধান (২০২০-২৫)

মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২০২৫)

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্ন  (২০০৮-২০২৫)

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top