এইচএসসি ২০২৩ বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান (ঢাকা বোর্ড)

HSC 2023 Dhaka Board bangla 2nd paper question & solution  

এইচএসসি ঢাকা বোর্ড ২০২৩ বাংলা ২য় পত্র প্রশ্নসহ উত্তর মালা (ব্যাকরণ অংশ)

ক-বিভাগ (ব্যাকরণ অংশ)
মান : ৩০

১. ক) উদাহরণসহ ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখো। ৫

১. শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ‘ম’ ফলা যুক্ত হলে সাধারণত সেই ম অনুচ্চারিত থাকে।যেমন: স্মরণ (শঁরোন্), শ্মশান (শঁশান্)।

২. শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ম’ ফলা যুক্ত হলে সংযুক্ত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়ে থাকে। যেমন: ছদ্ম (ছদ্ দোঁ), পদ্ম (পদ্ দোঁ), রশ্মি (রোশ্ শিঁ)।

৩. গ, ঙ, ট, ন, ণ, ম, ল- এ বর্ণগুলোর সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে ‘ম’-এর উচ্চারণ রক্ষিত হয়। যেমন: যুগ্ম (জুগ্‌ মো); জন্ম (জন্ মো); গুল্ম (গুল্ মো)।

৪. যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে সংযুক্ত ‘ম’ ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন: সূক্ষ্ম > শুক্‌খোঁ, লক্ষ্মণ (লোক্ খোঁন্), যক্ষ্মা (জক্ খাঁ)।

৫. ‘ম’ ফলা যুক্ত কতিপয় সংস্কৃত শব্দের উচ্চারণ সংস্কৃত রীতি অনুযায়ী হয়ে থাকে। যেমন: কুষ্মাণ্ড (কুশ্ মান্ ডো), সুস্মিতা (শুশ্ মিতা)।

অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখো:
প্রদত্ত শব্দ = উচ্চারণ
চর্যাপদ = চোর্ জাপদ্
রাষ্ট্রপতি = রাশ্ ট্রোপোতি
প্রত্যাশা = প্রোত্ তাশা
সংবাদপত্র = সঙ্ বাদ্ পত্ ত্রো
তন্বী = তোন্ নি
চিত্রকল্প = চিত্ ত্রোকল্ পো
অন্য = ওন্ নো
উদ্বেগ = উদ্ বেগ্

২. ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো। ৫

প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম:
১. সকল অতৎসম শব্দের বানানে ই-কার হবে। যেমন: কাহিনি, সরকারি ইত্যাদি।
২. সকল অতৎসম শব্দের বানানে উ-কার হবে। যেমন: চুন, পুজো, পুব ইত্যাদি।
৩. অতৎসম শব্দে ‘ক্ষ’ এর স্থলে ‘খ’ হবে। যেমন: খিদে, খুর ইত্যাদি।
৪. ভাষা ও জাতিবাচক শব্দে ই-কার হবে। যেমন: জাপানি, আরবি ইত্যাদি।
৫. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: কর্ম, মর্ম ইত্যাদি।

অথবা, খ) যেকোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখো:

অশুদ্ধ বানান = শুদ্ধ বানান
পরজীবি = পরজীবী
স্বরস্বতী = সরস্বতী
ইতিমধ্যে = ইতোমধ্যে
মনজোগ = মনোযোগ
মহিয়সী = মহীয়সী
নিরস = নীরস
উপরোক্ত = উপরিউক্ত
মণিষি = মনীষী

৩. ক) আবেগ-শব্দ বলতে কী বোঝ? আবেগ-শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো। ৫

আবেগ ও এর শ্রেণিবিভাগ :

আবেগ:
মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলা হয়। যেমন – ছি ছি, আহা, বাহ্, শাবাশ, হায় হায় ইত্যাদি।

নিচে বিভিন্ন ধরনের আবেগ শব্দের প্রয়োগ দেখানো হলো।

১. সিদ্ধান্ত আবেগ:
এ জাতীয় শব্দের সাহায্যে অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন- হ্যাঁ, আমাদের জিততেই হবে। বেশ, তবে যাওয়াই যাক।

২. প্রশংসা আবেগ:
এ ধরনের শব্দ প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন: শাবাশ! এমন খেলাই তো চেয়েছিলাম।
বাহ! চমৎকার লিখেছ।

৩. বিরক্তি আবেগ:
এ ধরনের শব্দ অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ছি ছি! এরকম কথা তার মুখে মানায় না। জ্বালা! তোমাকে নিয়ে আর পারি না।

৪. আতঙ্ক আবেগ:
এ ধরনের আবেগ-শব্দ আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন- উহ্, কী বিপদে পড়া গেল। বাপরে বাপ! কী ভয়ঙ্কর ছিল রাক্ষসটা।

৫. বিস্ময় আবেগ:
এ ধরনের শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে। যেমন: আরে। তুমি আবার কখন এলে? আহ্, কী চমৎকার দৃশ্য।

৬. করুণা আবেগ:
এ ধরনের শব্দ করুণা, মায়া, সহানুভূতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন: আহা! বেচারার এত কষ্ট। হায় হায়! ওর এখন কী হবে।

৭. সম্বোধন আবেগ:
এ ধরনের শব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন: হে বন্ধু, তোমাকে অভিনন্দন।
ওগো, তোরা জয়ধ্বনি কর।

৮. অলংকার আবেগ:
এ ধরনের শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্যে অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: দুর! এ কথা কি বলতে আছে? যাকগে, ওসব কথা থাক।

অথবা, খ) নিম্নোক্ত যেকোনো পাঁচটি বাক্যের নিম্নরেখ শব্দের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ করো:

i. বিপদ কখনো একা আসে না।
ii. আজ নয় কাল তাকে আসতেই হবে।
iii. দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
iv. গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
v. মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।
vi. বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড়ো আশ্চর্য।
vii. শাবাশ! দারুণ কাজ করেছ।
viii. সানজিদা দ্রুত দৌড়াতে পারে।

ব্যাকরণিক শ্রেণি :
i. বিশেষ্য
ii. যোজক
iii. অনুসর্গ
iv. বিশেষণ
v. সর্বনাম
vi. ক্রিয়া
vii. আবেগ শব্দ
viii. ক্রিয়া বিশেষণ।

৪. ক) উপসর্গ কাকে বলে? উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো। ৫

উপসর্গ:
যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে তাকে উপসর্গ বলে।

উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা :
নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠনে উপসর্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুধু তাই নয়- শব্দার্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ, সংকোচন কিংবা পূর্ণতা সাধনে উপসর্গ ভূমিকা রাখে। উপসর্গগুলোর অর্থবাচকতা না থাকলেও অন্য শব্দের আগে বসে এগুলো অর্থের দ্যোতনা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: ‘দিন’ শব্দের আগে ‘সু’ উপসর্গযোগে ‘সুদিন’ শব্দটি গঠিত হয়, যার অর্থ- ভালো দিন। এখানে অর্থের সংকোচন হয়েছে। কাজ শব্দের আগে ‘অ’ উপসর্গযোগে ‘অকাজ’ শব্দটি গঠিত হয়, যার অর্থ- অনুচিত কাজ। এখানে অর্থের পরিবর্তন হয়েছে। আবার ‘পূর্ণ’ শব্দের আগে ‘পরি’ উপসর্গযোগে ‘পরিপূর্ণ’ শব্দটি গঠিত হয়, যার অর্থ- সামগ্রিকভাবে ভরপুর। এখানে শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ হয়েছে। এভাবে সংস্কৃত, বাংলা ও বিদেশি উপসর্গের দ্বারা বাংলা ভাষায় নিত্য নতুন শব্দ গঠিত হচ্ছে। এ সকল দিক বিবেচনায় বলা যায়, উপসর্গের ব্যবহারে বাংলা শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে।

অথবা, খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো: (যেকোনো পাঁচটি)
প্রদত্ত শব্দ = ব্যাসবাক্য = সমাসের নাম
নীপবৃক্ষ = নীপের বৃক্ষ = ষষ্ঠী তৎপুরুষ
শতবর্ষ = শত বর্ষের সমাহার = দ্বিগু সমাস
হরতাল = তালের অভাব = অব্যয়ীভাব সমাস
গিন্নিমা = যিনি গিন্নি তিনি মা = কর্মধারয় সমাস
রক্তারক্তি = পরস্পর রক্ত ঝরিয়ে যে লড়াই = ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
সজল = জলের সঙ্গে বর্তমান = বহুব্রীহি সমাস
সত্যাসত্য = সত্য ও অসত্য = দ্বন্দ্ব সমাস
তোরা = তুই ও সে = দ্বন্দ্ব সমাস

৫. ক) অর্থ অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো। ৫

অর্থগতভাবে বাংলা বাক্যসমূহকে সাধারণত সাত ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-

১. বর্ণনামূলক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা সাধারণভাবে কোনো কিছু বর্ণনা বা বিবৃত করা হয় তাকে বর্ণনামূলক বাক্য বলে। যেমন: গরু মাঠে ঘাস খায়। গাছে গাছে ফুল ফুটেছে। একে নির্দেশাত্মক বা বিবৃতিমূলক বাক্যও বলা হয়ে থাকে।

বর্ণনামূলক বাক্য দুরকম হয়ে থাকে। যথা-

ক. অস্তিবাচক:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের অস্তিত্ব বা হ্যাঁ-সূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে অস্তিবাচক বাক্য বলে। যেমন: দিবা চুপ করে রইল।

খ. নেতিবাচক:
যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের না-সূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে নেতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: দিবা কোনো কথা বলল না।

২. প্রশ্নসূচক বাকা:
যে বাক্য দ্বারা সরাসরি কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয় তাকে প্রশ্নসূচক বাক্য বলে। যেমন: তোমার নাম কী ? তুমি কোন ক্লাসে পড়? একে প্রশ্নাত্মক বা প্রশ্নবোধক বাক্যও বলা হয়।

৩. ইচ্ছাসূচক বাক্য:
যে বাক্যে মনের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা বা প্রার্থনা প্রকাশ পায় তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন: যদি দশ কোটি টাকা পেতাম। জীবনে সফল হও। একে প্রার্থনাসূচক বাক্যও বলা হয়।

৪. আজ্ঞাসূচক বাক্য:
যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, আবেদন, অনুরোধ ইত্যাদি বোঝায় তাকে আজ্ঞাসূচক বাক্য বলে। যেমন: ওখানে গিয়ে বসো। সদা সত্য কথা বলবে। দয়া করে কলমটি দাও।

৫. আবেগসূচক বাক্য:
যে বাক্য দ্বারা মনের আকস্মিক আবেগ বা উচ্ছ্বাস প্রকাশ পায় তাকে আবেগসূচক বাক্য বলে। যেমন: আহ। কী আরামা এও কি সম্ভব।

৬. সংশয়সূচক বাক্য:
নির্দেশাত্মক বাক্যের বক্তব্যের বিষয় সম্পর্কে সন্দেহ, সংশয়, সম্ভাবনা, অনুমান, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পেলে তাকে সংশয়সূচক বাক্য বলে। একে সন্দেহদ্যোতক বাক্যও বলা হয়। এ ধরনের বাক্যে হয়তো, বুঝি, বুঝিবা, সম্ভবত, বোধ হয়, নাকি, নিশ্চয় প্রভৃতি সন্দেহসূচক শব্দ ব্যবহূত হয়। যেমন: বোধ হয় সে আর আসবেনা। সম্ভবত দিবার ব্যস্ততা বেড়েছে।

৭. কার্যকারণাত্মক বাক্য:
যে বাক্যে কোনো বিশেষ শর্তের অধীনে ক্রিয়া নিষ্পত্তি হয় তাকে কার্যকারণাত্মক বাক্য বলে। একে শর্তসূচক বাক্যও বলা হয়। যেমন: কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না। নিয়মিত পড়ালেখা না করলে ভালো ফল হয় না।

অথবা, খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যেকোনো পাঁচটি বাক্যান্তর করো:

প্রদত্ত বাক্য =>বাক্যান্তর
i. তিনি ধনী হলেও অসাধু নন। (জটিল)
=>যদিও তিনি ধনী তবুও তিনি অসাধু নন।
ii.পৃথিবী অস্থায়ী। (নেতিবাচক)
=>পৃথিবী চিরস্থায়ী নয়।
iii. সত্যি সেলুকাস, এদেশ বড়ো বিচিত্র। (বিস্ময়বোধক)
=>সত্যি সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ!
iv. তুমি দীর্ঘজীবী হও। (নির্দেশক)
=>তোমার দীর্ঘজীবন কামনা করছি।
v.তার বয়স হলেও শিক্ষা হয়নি। (প্রশ্নবাচক)
=>তার বয়স হলেও শিক্ষা হয়েছে কি?
vi. সরস্বতী বর দেবেন না। (প্রশ্নবাচক)
=>সরস্বতী বর দেবেন কি?
vii. আইন মেনে চলা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)
=>আইন মেনে চলবে।
viii. ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই। (জটিল)
=>যেহেতু সম্পর্কটা ঠাট্টার, সেহেতু স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।

৬. ক) যেকোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখো: ৫

প্রদত্ত বাক্য =>শুদ্ধ বাক্য
i. দৈন্যতা প্রশংসনীয় নয়।
=>দৈন্য/দীনতা প্রশংসনীয় নয়।
ii. দশচক্রে ঈশ্বর ভূত।
=>দশচক্রে ভগবান ভূত।
iii. শুধুমাত্র কথায় কাজ হবে না।
=>শুধু কথায় কাজ হবে না।
iv. তার কথাই প্রমাণ হলো।
=>তার কথা প্রমাণিত হলো।
v. তিনি স্বস্ত্রীক এসেছেন।
=>তিনি সস্ত্রীক এসেছেন।
vi. রিমা ভয়ঙ্কর মেধাবী।
=>রিমা খুব মেধাবী।
vii. করোনাকালীন সময়ে আমরা কোথাও যাইনি।
=>করোনাকালীন আমরা কোথাও যাইনি।
viii. পরবর্তীতে এ বিষয়ে কথা হবে।
=>পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে কথা হবে।

অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করো:
সেদিন বাবুল স্যার বললেন, “তোমরা পড়ালেখায় মনোযোগি হও। চর্চা না করিলে বানান ভূল হবেই। বিদ্যান, সমিচিন বানান দুটো ঠিক করে লেখো তো।”

শুদ্ধ অনুচ্ছেদ:
সেদিন বাবুল স্যার বললেন, “তোমরা পড়ালেখায় মনোযোগী হও। চর্চা না করলে বানান ভুল হবেই। বিদ্বান, সমীচীন বানান দুটো ঠিক করে লেখো তো।”

এইচএসসি ২০২৩ বাংলা ২য় পত্র ঢাকা  বোর্ড (নির্মিতি অংশ)

খ-বিভাগ (নির্মিতি অংশ)
মান : ৭০

৭. ক) যেকোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখো: ১০
প্রদত্ত শব্দ =>পারিভাষিক শব্দ
Sabotage => অন্তর্ঘাত
Zodiac =>রাশিচক্র
Will =>ইচ্ছাপত্র
Realism =>বাস্তববাদ
Oath =>শপথ, হলফনামা
Nomination =>মনোনয়ন
Liberal =>উদার
Kingdom =>রাজ্য
Jail code =>কারা সংহিতা
Immigrant =>অভিবাসী
Globalisation =>বিশ্বায়ন
Geology =>ভূতত্ত্ব
Fiction =>কথাসাহিত্য
Era =>যুগ
Biography =>জীবনচরিত

অথবা, খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ করো:
Time is valuable. It is even more valuable than money. We can regain lost money, we can regain lost health but time once gone is gone forever. So every moment of life should be used properly.

বঙ্গানুবাদ:
সময় মূল্যবান। এমনকি তার মূল্য অর্থের চেয়েও বেশি। হারানো অর্থ আমরা পুনরায় অর্জন করতে পারি। হারানো স্বাস্থ্যও পুনরায় অর্জন করতে পারি। কিন্তু সময় একবার চলে গেলে তা সারা জীবনের জন্য যায়। তাই প্রত্যেকটি মুহূর্তের সঠিক ব্যবহার করা উচিত।

৮. ক) তোমার কলেজে ‘বসন্তবরণ’ পালিত হয়েছে। ওই দিনের বর্ণনা দিয়ে একটি দিনলিপি লেখো। ১০

অথবা, খ) তোমার এলাকার গণগ্রন্থাগারের অবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

৯. ক) শিক্ষাসফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে তোমার বন্ধুর নিকট একটি বৈদ্যুতিন চিঠি লেখো। ১০

অথবা, খ) তোমার এলাকার রাস্তাঘাট নিয়মিত পরিষ্কার রাখার জন্য পৌরসভার মেয়রের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো।

১০. ক) সারাংশ লেখো: ১০
বার্ধক্য তাহাই- যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে, মৃত্যুকে আঁকড়িয়া পড়িয়া থাকে। বৃদ্ধ তাহারাই যাহারা মায়াচ্ছন্ন, নবমানবের অভিনব জয়যাত্রায় শুধু বোঝা নয়; বিঘ্ন; শতাব্দীর নব যাত্রীর চলার ছন্দে ছন্দ মিলাইয়া যাহারা কুচকাওয়াজ করিতে জানে না, পারে না; যাহারা জীব হইয়াও জড়; যাহারা অটল সংস্কারের পাষাণ-স্তূপ আঁকড়িয়া পড়িয়া আছে। বৃদ্ধ তাহারাই যাহারা নবঅরুণোদয় দেখিয়া নিদ্রাভঙ্গের ভয়ে দ্বার রুদ্ধ করিয়া পড়িয়া থাকে। আলোকপিয়াসী প্রাণচঞ্চল শিশুদের কল-কোলাহলে যাহারা বিরক্ত হইয়া অভিসম্পাত করিতে থাকে, জীর্ণ পুঁথি চাপা পড়িয়া যাহাদের নাভিশ্বাস বহিতেছে, অতিজ্ঞানের অগ্নিমান্দ্যে যাহারা আজ কঙ্কালসার- বৃদ্ধ তাহারাই।

অথবা, খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো:
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো-মন্দ যাহাই আসুক
সত্যেরে লহ সহজে।

১১. ক) অমর একুশে বইমেলা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা করো। ১০

অথবা, খ) নিচের উদ্দীপক অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা করো:
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্ররা কলেজ প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এমন সময় সেখানে উপস্থিত হলেন সদর হাসপাতালের নতুন মেডিক্যাল অফিসার ডা. শায়লা …

১২. যেকোনো একটি বিষয় অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা করো: ২০
ক. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ
খ. বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ
গ. একুশের চেতনা ও বর্তমান বাংলাদেশ
ঘ. বাংলাদেশের পোশাক শিল্প
ঙ. করোনা-উত্তর বিশ্ব অর্থনীতি ও বাংলাদেশ

(উপকৃত হলে কিংবা কনফিউশান থাকলে দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল ধরিয়ে দিতে পারলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ্।)

এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন ও সমাধান (২০১৮-২০২৪)

এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সকল বোর্ড প্রশ্ন  ও সমাধান (২০২০-২৪)

মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল বাংলা ২য় প্রশ্ন ও সমাধান (২০২০-২০২৪)

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্ন  (২০০৮-২০২৪)

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top